সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: দিল্লির বিষাক্ত বাতাসেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তাঁর নেতৃত্বেই দিল্লিতে ফের এক ছাদের তলায় দেশের অধিকাংশ বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা। মূলত, আগামী শীতকালীন অধিবেশনে মোদি সরকারকে চাপে ফেলার ছক কষতেই এই বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী তথা ইউপিএ চেয়ারপার্সন।
সোনিয়ার ডাকা বৈঠকে সাড়াও মিলেছে আশানুরূপ। প্রায় প্রতিটি শক্তিশালী বিরোধী দলই নিজেদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। ইউপিএ-র অন্তর্ভূক্ত বেশিরভাগ দলের প্রতিনিধিরাই এদিনের বৈঠকে উপস্থিত আছেন। আছেন ইউপিএ-র বাইরের একাধিক দলের সদস্যও। ডিএমকে, আরজেডি, জেডিএস, সিপিআই, সিপিআইএম, জেএসপি,আরএলএসপি, লোকতান্ত্রিক জনতা দল, তৃণমূল কংগ্রেস এবং আরএলডির প্রতিনিধিরা উপস্থিত। এনসিপির তরফে খোদ শরদ পওয়ার বৈঠকে থাকছেন। অন্যান্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি শরদ যাদব, মনোজ ঝাঁ, টি আর বালুর মতো বর্ষীয়ান নেতাদের। তবে, এদিনের বৈঠকে সমাজবাদী পার্টি, এবং বিএসপির মতো দলগুলি অনুপস্থিত। তৃণমূলের তরফেও প্রথম সারির কোনও নেতা যাননি। পাঠানো হয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ নাদিমুল হককে।
[আরও পড়ুন: দেবদেবীকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর পোস্ট নয়, অযোধ্যায় জারি নির্দেশিকা]
লোকসভার আগে বিরোধীদের যে ঐক্য চোখে পড়েছিল ভোটের পর অন্তত সংসদে সেই ঐক্য একেবারেই চোখে পড়েনি। রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ না হওয়া সত্ত্বেও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে সরকার। অনেক বিরোধী দলই হয় ভোটদানে বিরত থেকেছে, নয় সরকার পক্ষে ভোট দিয়েছে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এদিনের বৈঠক বাড়তি গুরুত্বপূর্ণ। সোনিয়া চাইছেন, শীতকালীন অধিবেশনে শাসক শিবিরকে বিভিন্ন ইস্যুতে চাপে রাখতে। মূলত মোদি সরকারের আর্থিক নীতি, কাশ্মীর সমস্যা, ৩৭০ ধারা, কাশ্মীরে দেশের বিরোধীদের ঢুকতে না দেওয়া, অথচ ইউরোপের সাংসদদের জামাই আদরে নিয়ে যাওয়া, হোয়াটসঅ্যাপে নজরদারি, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে এজেন্সির ব্যবহার, এসব বিষয়ে মোদির বিরুদ্ধে রণকৌশল তৈরির লক্ষ্যেই বিরোধীদের একজোট করার চেষ্টা করছেন সোনিয়া।