সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর দেশেই জন্ম হয়েছে ক্রিকেটের। গওয়ার, বোথাম থেকে শুরু করে কুক, পিটারসেন পর্যন্ত। দেশে কিংবদন্তির অভাব ছিল না। অথচ ইংল্যান্ড ক্রিকেটার বলছেন, তিনি নাকি ক্রিকেট খেলার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন দুই ভারতীয় কিংবদন্তির কাছ থেকে। তারা আর কেউ নন, একজন বর্তমান বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) এবং অপরজন ভারতের ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid )। যিনি এই দুই তারকার থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন, তিনিও কম যান না। কথা হচ্ছে, এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান জস বাটলারের।
সৌরভ এবং দ্রাবিড় একইসঙ্গে জাতীয় দলের জার্সি চাপান ১৯৯৬ সালে। তারপর দুজনেই নিজেদের আলাদাভাবে প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৯ সালে টনটনে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩১৮ রানের রেকর্ড ঐতিহাসিক পার্টনারশিপ করেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে সেদিনই নিজের সর্বোচ্চ স্কোর করেন সৌরভ (১৮৩), দ্রাবিড় খেলেন ১৪৫ রানের ইনিংস। সেই জুটির কথা আজও বাটলারের মনে অমলিন। তিনি সেসময় ছিলেন বছর নয়েকের। বালক হৃদয়ে দাগ কেটেছিল দ্রাবিড় এবং সৌরভের জুটি এবং দর্শকদের উন্মাদনা। , “দ্রাবিড়, সৌরভের একের পর এক সেঞ্চুরি, বড় রানের পার্টনারশিপ গড়া- আমাকে ক্রিকেটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ওঁরা আমার উপর বিশাল প্রভাব ফেলেছেন।“ এক সাক্ষাতকারে বলছিলেন বাটলার (Jos Buttler)। তাঁর বক্তব্য, সেই ম্যাচেই আমি প্রথম উৎসাহী ভারতীয় দর্শকদের দেখেছিলাম। আর সেটাই আমার মধ্যে বিশ্বকাপ খেলার খিদেটাকে তৈরি করে দিয়েছিল। শুধু সৌরভ-দ্রাবিড়ের জুটিই নন, ২০১১ বিশ্বকাপে ধোনির সেই ছক্কা হাঁকানোটাও যে তাঁর ভাল লাগার মুহূর্তে অকপটে সেকথা জানিয়ে দিয়েছেন ইংরেজ ক্রিকেটার।
[আরও পড়ুন: করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন ঋদ্ধিমান, শীঘ্রই যোগ দেবেন ইংল্যান্ডগামী ভারতীয় দলে]
মজার কথা হল, বাটলার নিজেও বিশ্বকাপ জিতেছেন। এমনকী বিশ্বকাপ ফাইনালে ভাল খেলার নজিরও আছে তাঁর। ইংল্যান্ডের হয়ে ৫০টি টেস্ট এবং ১৪৮টি ওয়ানডে ইতিমধ্যেই খেলে ফেলেছেন তিনি। সীমিত অভারের ক্রিকেটে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একজন বাটলার। এ হেন ক্রিকেটার কিনা খেলাটা শুরুই করেছেন দু’জন ভারতীয় কিংবদন্তিকে দেখে। খানিকটা অভাবনীয় হলেও সত্যি।