সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনের বছরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকেই ‘পাখির চোখ’ করে এগোতে চায় দলগুলি। এর মধ্যে বিজেপিও রয়েছে। বিশেষ করে তিন হিন্দিভাষী রাজ্য ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের দিকে তাকিয়ে গেরুয়া শিবিরের সিদ্ধান্ত, এই নির্বাচনগুলিতে কাউকেই ‘মুখ্যমন্ত্রীর মুখ’ করা হবে না। ‘সম্মিলিত নেতৃত্বে’র জোরেই ভোট বৈতরণি পার হতে চাইছে বিজেপি।
মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে এবছর এখনও প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচিত করেনি বিজেপি। ফলে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় রয়েছেই। বিজেপি যদি এখানে ক্ষমতায় আসে তাহলে শেষপর্যন্ত ৬৪ বছরের রাজনীতিবিদকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ভাবা হবে কিনা তা আদৌ নিশ্চিত নয়।
[আরও পড়ুন: পিঠে PFI লেখার অভিযোগ ভুয়ো, গুজব ছড়ানোয় কেরলের সেনাকর্মীকেই গ্রেপ্তার পুলিশের]
এদিকে রাজস্থান (Rajasthan) ও ছত্তিশগড়েও একই অবস্থা। এর আগে জানুয়ারিতে বসুন্ধরা রাজে, যিনি রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, তাঁকেই আগেভাগে বিজেপির ‘মুখমন্ত্রীর মুখ’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে এই গুঞ্জন ছিল। কিন্তু এখন দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত, কাউকেও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে নির্বাচনে লড়বে না বিজেপি। একই ছবি ছত্তিশগড়ে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমণ সিং ও রাজ্যের বিজেপি (BJP) সভাপতি অরুণ সাওকে সামনে রেখে এগোলেও শেষপর্যন্ত ‘সম্মিলিত লড়াই’-ই করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। পাশাপাশি তেলেঙ্গানা ও মিজোরামেও একই গেমপ্ল্যান।
কিন্তু এখানেই উঠছে প্রশ্ন। কাউকে মুখ না করে রাজ্যগুলিতে নির্বাচনে লড়তে রাজি হওয়ার পিছনে কি কেবলই ‘সম্মিলিত লড়াই’-এর পরিকল্পনা? নাকি তা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়ানোর কৌশল? মোদি-শাহর সিদ্ধান্তই যেখানে শেষকথা ছিল এতদিন, সেখানে কি কিছুটা হলেও শৈথিল্য দেখা দিয়েছে? আর তাই বাড়তি কোনও দ্বন্দ্বের অবকাশ না দিয়ে নির্বাচনে লড়ার এই ছক? প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের।