দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৪৯-৪ (ক্লাসেন ৭৪*, মিলার ৭৫*)
ভারত: ২৪০-৮ (সঞ্জু ৮৬*, শ্রেয়স ৫০)
দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ রানে জয়ী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লখনউয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম ওয়ানডেতে শিখর ধাওয়ানের ভারত হেরে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। বৃষ্টির জন্য একসময়ে লখনউয়ে ওয়ানডে ম্যাচ হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় ছিল। পরে অবশ্য ওভার সংখ্যা কমিয়ে খেলা শুরু হয়। ৫০ ওভারের ম্যাচ হয়ে যায় ৪০ ওভারের। ৪০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৪ উইকেটে ২৪৯ রান। রান তাড়া করতে নেমে ভারত থামে ৮ উইকেটে ২৪০ রানে। প্রথম ওয়ানডেতে ৯ রানে হার মানল ভারত।
পিচে ভেজা ভাব রয়েছে। সেই কারণে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে পাঠান শিখর ধাওয়ান। কিন্তু ভারতীয় বোলাররা পিচের সুবিধা নিতে পারেননি। মালান ও কুইন্টন ডি কক ওপেনিং জুটিতে করেন ৪৯। ব্যক্তিগত ২২ রানে আউট হন মালান। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বাভুমা (৮) ব্যর্থ হন। ৭০ রানে ২ উইকেট চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। মার্করাম ব্যর্থ হন। খাতা না খুলেই তিনি ফেরেন প্যাভিলিয়নে। কুইন্টন ডি কক ব্যক্তিগত ৪৮ রান করেন। এর পরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেন ডেভিড মিলার ও ক্লাসেন। দু’ জনে ১৩৯ রান জোড়েন। আর এই রান ভারতের উপরে চাপ বাড়ায়। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মিলার শতরান হাঁকিয়েছিলেন। এদিন ৬৩ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অন্য দিকে ক্লাসেন ৬৫ বলে ৭৪ রান করেন। এই দুই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শিখর ধাওয়ান ও শুভমন গিল দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরেন। রাবাদার বলে বোল্ড হন শুভমন গিল (৩)। অন্যদিকে পার্নেলের বল টেনে নিয়ে বোল্ড হন শিখর ধাওয়ান (৪)। মাত্র আট রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও ঈশান কিষান অত্যন্ত শ্লথ ব্যাটিং করেন। বলা ভাল রাবাদা, পার্নেল, এনগিদি তাঁদের শট খেলতেই দেননি। আর এই শ্লথ ব্যাটিংয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা চেপে বসে ভারতের উপরে। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ১৯ রানে ফেরেন শামসির বলে। তার পরে ইষান কিষান (২০) সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হন। শ্রেয়স আইয়ার রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। এই পিচে ৩৭ বলে ৫০ রান করেন তিনি। এনগিডির শিকার শ্রেয়স। এরপরে সঞ্জু স্যামসন ও শার্দূল ঠাকুর ভারতকে লড়াইয়ে ফেরান। দু’ জনে ৯৩ রান যোগ করেন। সঞ্জু হাফ সেঞ্চুরি করেন। ঠিক যখন মনে হচ্ছে, ভারতও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে, ঠিক সেই সময়ে এনগিদি আউট করেন শার্দূলকে (৩৩)। একই ওভারে ফেরেন কুলদীপ যাদব (০)। আবেশ খান (৩) ম্যাচের উপরে প্রভাব ফেলতে পারেননি। শেষ ওভারে জেতার জন্য ভারতের দরকার ছিল ৩০ রান। শামসির ওভার থেকে ভারত তোলে ২০ রান। সঞ্জু শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮৬ রানে। তিনি টিকে থাকলেও ভারতকে জেতাতে পারেননি।