দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৮৬ ও ১৩০
ভারত: ২০৯ ও ১৩৫ (অশ্বিন-৩৭)
৭২ রানে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুমরাহ, মহম্মদ শামিরা যখন তিন-তিনটে করে উইকেট তুলে নিচ্ছিলেন, উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে যখন একের পর এক ক্যাচ তুলে ইতিহাস গড়ছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা, তখন ভারতীয় সমর্থকদের ঠোঁটের কোণে হালকা হাসি ফুটে উঠেছিল। প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের ধ্বংস করে যেন একটু বেশিই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিলেন ক্যাপ্টেন কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস ১৩০ রানে গুটিয়ে ফেলা মানেই যে লক্ষ্যপূরণ নয়, সেই মুহূর্তে হয়তো মনেই ছিল না তাঁর। তাই দিনের শেষে উচ্ছ্বাসটা মুছেই গেল। দেশের মাটিতে একগুচ্ছ টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে বিদেশে গিয়ে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ল কোহলি অ্যান্ড কোম্পানি।
[বিরাটের বিশ্রী পারফরম্যান্সে হতাশ, আত্মহত্যার চেষ্টা প্রৌঢ়ের]
ভারতীয়রা যেন দক্ষিণ আফ্রিকায় সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে গিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে খরায় আক্রান্ত কেপ টাউনকে আচমকাই ভিজিয়েছে বৃষ্টি। আবার চিরাচরিত উইকেট থেকে অন্যরকম উইকেটে খেলার সুযোগও পেয়েছেন ডিভিলিয়ার্সরা। আর তাতেও হল মধুরেণ সমাপয়েৎ। দলে থেকেও চোটের কারণে বল করতে পারলেন না। তা সত্ত্বেও প্রথম টেস্টে লেটার মার্কস নিয়েই উত্তীর্ণ হলেন মর্নি মর্কেলরা। তবে প্রোটিয়া বোলারদের সঙ্গে প্রশংসার দাবি রাখেন ভারতীয় পেসার ও স্পিনাররাও। শুধুই হাত ঘুরিয়ে নয়, ব্যাটিংয়েও। কারণ টেস্টের এক নম্বর দলের টপ-অর্ডার যখন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে, তখন ভারতের অন্তত মুখরক্ষা হল সেই টেল-এন্ডারদের হাত ধরেই।
প্রাক্তনরা হামেশাই বলে থাকেন, আসল পরীক্ষা বিদেশের মাঠে। দেশের মাটিতে যতই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ফরম্যাটে দল জিতুক না কেন, বাইরের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে দলকে জেতানো অন্যরকম চ্যালেঞ্জ। আর ডাকাবুকো বিরাট কোহলি তো কোনও প্র্যাকটিস ম্যাচ না খেলেই সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছে যা অনুশীলন করেছেন তাইই যথেষ্ট। বলেছিলেন, শচীন তেণ্ডুলকরদের হারের স্মৃতি মুছে ফেলবে তাঁর দল। সে সব প্রতিশ্রুতির সূচনাটা কিন্তু হল বেশ নড়বড়েভাবেই। তবে হারের পরও দলের পারফরম্যান্সে খুশি অধিনায়ক। বলছেন, “যেভাবে অল্প রানের মধ্যে প্রোটিয়াদের গুটিয়ে ফেলতে পেরেছে আমাদের বোলাররা, তাতে আমি গর্বিত। তাছাড়া টেস্টটা একেবারেই একপেশে ছিল না। পরের টেস্টে ভুলগুলো শুধরেই মাঠে নামব।”
নিউল্যান্ডসে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপের এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সে হতাশ ক্রিকেটমহল। বিশ্বের এক নম্বর বনাম দুনম্বরের লড়াই আরও হাড্ডাহাড্ডি হবেই বলেই ধারণা ছিল বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু মুরলী বিজয়, ধাওয়ান, কোহলিরা আর তা হতে দিলেন কই। তার উপর অজিঙ্ক রাহানেকে বসিয়ে রোহিত শর্মাকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্তটাও অনেক প্রাক্তনই মেনে নিতে পারেননি। ভুবি-অশ্বিন জুটি হাজার লড়াই করেও খাদ থেকে তুলতে পারলেন না টিম ইন্ডিয়াকে। ২০৮ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৩৫ রানেই শেষ ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। ফিলান্ডার (৬)-বারাডার (২) দুর্দান্ত বোলিংয়ের সৌজন্য চতুর্থ দিনই টেস্ট জিতে নিল হোম ফেভরিটরা। পরের টেস্ট জিতলেই কিন্তু সিরিজ হাতছাড়া। এ কথা কোহলি যেন ভুলে না যান।
দেখুন বিরাট কোহলির সাংবাদিক সম্মেলন:
[উইকেটকিপার হিসেবে ধোনিকে টপকে ইতিহাস ঋদ্ধিমানের]
The post হতশ্রী ব্যাটিংই ডোবাল ভারতকে, প্রথম টেস্টে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা appeared first on Sangbad Pratidin.