ভারত: ১৪৮/৬ (ইশান-৩৪, শ্রেয়স-৪০, নখিয়া- ৩৬/২)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৪৯/৬ (ক্লাসেন-৮১, বাভুমা-৩৫, ভুবনেশ্বর-১৩/৪)
৪ উইকেটে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘরের মাঠে প্রোটিয়াবাহিনীর কাছে প্রথম ম্য়াচে হেরে পিচকে দুষেছিলেন অস্থায়ী অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। কিন্তু কটকের উইকেটেও যে ভাগ্যের চাকা ঘুরল না। উইকেটকিপার ক্লাসেন কার্যত একাই আরও একটা জয় উপহার দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। আর সেই সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ০-২ পিছিয়ে পড়ল ভারত। অর্থাৎ সিরিজ পকেটে পুরতে হলে পরের তিনটে ম্যাচই জিততে হবে টিম ইন্ডিয়াকে। কিন্তু পন্থদের পারফরম্যান্সে যে সেই আশা করা বড়ই কঠিন।
বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, জশপ্রীত বুমরাহরা আপাতত বিশ্রামে। তাঁদের অনুপস্থিতিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আগে নিজেদের প্রমাণ করার দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছেন ভারতীয় দলের তরুণ তারকারা। আবার ভবিষ্যতের নেতা হিসেবে যাঁর নাম মাঝে মধ্যেই উঠে আসে, সেই পন্থও নেতৃত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন। কিন্তু সেই সুযোগকে ভালভাবে কাজে লাগাতে পারছেন কই!
[আরও পড়ুন: আইপিএলের মিডিয়া সত্ত্বের ই-নিলামে টাকার খেলা, প্রতি ম্যাচের মূল্য ১০৫ কোটিরও বেশি!]
ছোট ফরম্যাটের ম্যাচে টসে হারা মানে শুরুতেই পিছিয়ে পড়া। সেক্ষেত্রে কোনও দলের একমাত্র অস্ত্র প্রথমে ব্যাট করতে নামলে স্কোরবোর্ডে বড় রান তোলা। গত ম্যাচে সেই লক্ষ্যে ভারত (Team India) সফল হলেও রবিবাসরীয় কটকে সেটাও হল না। শুরুতেই রাবাডার বলে আউট হন ঋতুরাজ। ঈশান কিষান ও শ্রেয়স জুটি দলকে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেলেও নিরাশ করেন মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। ব্যর্থ পাণ্ডিয়া (৯), পন্থরা (৫)। দীনেশ কার্তিক ৩০ রানে অপরাজিত করেছে দলকে দেড়শোর কাছাকাছি পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করেন। কিন্তু এই স্কোর জয়ের জন্য যে যথেষ্ট ছিল না, তা কার্যত হাসতে হাসতে প্রমাণ করে দিল সফরকারী দল।
অনবদ্য বোলিং প্রোটিয়াদের টপ অর্ডারে ধস নামান ভুবনেশ্বর কুমার। ৪ ওভারে ১৭টি ডট বল করে তুলে নেন চারটি উইকেট। কিন্তু ‘ক্লাসেন’ নামক ঝড়েই একেবারে তছনছ হয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া। তবে শুধু পন্থের অধিনায়কত্বের দিকে আঙুল তুললেও চলবে না। এদিন ভারতের বিশ্রী ফিল্ডিংও হারের অন্যতম কারণ।
বাড়িতে বড়রা না থাকলে ছোটরা যেমন দিশেহারা হয়ে পড়ে, সিনিয়রদের অনুপস্থিতিতে পন্থবাহিনীকে অনেকটা তেমনই দেখাচ্ছে। আইপিএলে নজরকাড়া পারফর্মার পাণ্ডিয়া, আবেশ খান, চাহালরা যেন অভিভাবকের অভাব বোধ করছেন। এবার ভরসা কোচ রাহুল দ্রাবিড়। তাঁর টোটকায় দল ঘুরে দাঁড়াতে পারে কি না, সেটাই লাখ টাকার সওয়াল। তবে ডেভিড মিলাররা যে বিনাযুদ্ধে এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়বে না, তা তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেই আরও একবার স্পষ্ট।