রাজা দাস, বালুরঘাট: নতুন বছরে শীতের মনোরম আমেজে চড়ুইভাতির ইচ্ছেপূরণ করতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি ঘটল গৃহবধূর। স্বামীকে না জানিয়ে পিকনিকে গিয়েছিলেন স্ত্রী। বাড়িতে ঢোকার পরই রাগের মাথায় স্ত্রীকে খুন করল স্বামী। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোরগোল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের কুরমাইল এলাকায়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত মহিলার নাম চম্পা দাস। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী সজল দাস পলাতক। মঙ্গলবার বালুরঘাট থানার পুলিশ সজল দাসের বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রীর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। অভিযুক্তর খোঁজও চালানো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘আর বিরোধ নয়, শুধুই সমন্বয়’, উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সুর রাজ্যপাল-শিক্ষামন্ত্রীর]
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সজল গাছ কাটার কাজ করে। সোমবার সে কাজে বেরিয়ে যায়। এরপরেই তার স্ত্রী চম্পা দুই নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে পিকনিকে যান। এদিকে, দুপুরেই কাজ সেরে বাড়ি ফিরে আসে সজল। স্ত্রী ও সন্তানদের বাড়িতে না দেখতে পেয়ে ফোন করে। তখনই জানতে পারে পিকনিকে গিয়েছেন চম্পা। সন্ধেয় স্ত্রী বাড়িতে ফিরতেই এই নিয়ে শুরু হয় বিবাদ। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে কাঠের বাটাম হাতে তুলে নেয় সজল। তা দিয়েই সজোরে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে বলে অভিযোগ।
বাটামের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন চম্পা। গোটা বিষয়টি জানার পর স্থানীয়রাই চম্পা দাসকে বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে খবর। কিন্তু চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে, শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার রাতে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। স্ত্রীর মৃত্যুর পরই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এদিন দুপুরে ওই এলাকায় যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। খুনের ঘটনার পর থেকেই থমথমে গোটা এলাকা।