সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশে নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে। প্রার্থী তালিকা পছন্দ না হওয়ায় বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়, সহ-আহ্বায়ক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee and Baishakhi Banerjee leave BJP)। সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি পাঠিয়ে এ কথা জানিয়েছেন তাঁরা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে এই মর্মে চিঠি পৌঁছেছে বলে খবর। ফেসবুকে এই সংক্রান্ত একটি পোস্টে নিজের উষ্মাপ্রকাশ করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, কলকাতার কোনও একটি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে টালিগঞ্জ এবং বেহালা পূর্ব কেন্দ্র পছন্দের ছিল তাঁর। কিন্তু রবিবার বিজেপির দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, টালিগঞ্জে বাবুল সুপ্রিয় এবং বেহালা পূর্ব অর্থাৎ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে প্রার্থী করা হয়েছে।তাতেই অসন্তুষ্ট হয়েছেন শোভনবাবু ও বৈশাখীদেবী। ঘনিষ্ঠ সূত্রে আরও খবর, বেহালা পূর্বের বদলে বেহালা পশ্চিমের প্রার্থী হওয়ার জন্য শোভন চট্টোপাধ্যায়কে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিজেপির তরফে। কিন্তু তাতে রাজি হননি তিনি। আর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রার্থী হিসেবে বিবেচনাই করা হয়নি বলে বিজেপি সূত্রে খবর। সবমিলিয়ে, দলের সিদ্ধান্তে বেশ ক্ষুব্ধ শোভন-বৈশাখী। তাই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত।
এর পরপরই ফেসবুক পোস্ট করে বৈশাখীদেবী বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। পোস্টে জানিয়েছেন, শোভনবাবুকে বেহালা পূর্বের মানুষজন পছন্দ করেন, ভালবাসেন। মানুষের এই ভালবাসাই তাঁর শক্তি বলে উল্লেখ করেছেন বিজেপির কলকাতা জোনের সহ-আহ্বায়ক বৈশাখী।
[আরও পড়ুন: এই সাত আসনে হেভিওয়েটদের লড়াই, বিজেপি-তৃণমূল নাকি বাম, পাল্লা ভারী কার?]
দল ও ব্যক্তিগত সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে ২০১৮ সালে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেন কলকাতার তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। মন্ত্রীত্ব থেকে তৃণমূলের যাবতীয় পদের দায়িত্ব ছেড়ে দেন তিনি। পরবর্তীতে শোভনবাবু এবং বৈশাখীদেবী বিজেপিতে যোগ দেন। প্রথমদিকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব না পেলেও একুশের বিধানসভা ভোটের (WB Election 2021) আগে তাঁদের কাজে লাগিয়েছে গেরুয়া শিবির। সংগঠন গুছিয়ে নিতে শোভনবাবুকে কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক করা হয়। বৈশাখী সহ-আহ্বায়কের দায়িত্ব পান। কিন্তু প্রার্থী তালিকা পছন্দ না হওয়ায় এবার বিজেপিও ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা।