নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ে না বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) উপাচার্যের। দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙে এবার বিশ্বভারতীতে বন্ধ বসন্ত উৎসব। ঘরোয়াভাবে রীতি পালন করা হয়। আর তাতেই বিভিন্ন মহলে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। বসন্তোৎসব বন্ধ প্রসঙ্গেই এবার উপাচার্যকে একহাত নিলেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
একের পর এক ভোটে লড়াই করে সাফল্য এসেছে। শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হেসেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বারবার ভেবেছেন তারাপীঠের মন্দিরে পুজো দেবেন। কিন্তু দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ব্যস্ত সময় থেকে সামান্য ফুরসত মেলাই যে দায়। তাই তো তারাপীঠে যাওয়া হয়নি বর্ষীয়ান রাজনীতিক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। দোলের সময় সামান্য সময় সঞ্চয় করে তারাপীঠে মন্ত্রী। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দোলের সময় জনপ্রতিনিধি নিজের এলাকা ছেড়ে অন্যত্র যাওয়া পছন্দ করেন না। তবে দলনেত্রীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তারাপীঠে যান তিনি। খুব তাড়াতাড়ি আবার তারাপীঠে আসবেন বলেও জানান।
[আরও পড়ুন: হোলিতে হিন্দুত্ববাদীদের রোষানলে রোহিত শর্মা, টুইটারে ট্রেন্ডিং ‘ঋতিকা আপনা কুত্তা সামাল’]
সেখানে গিয়েই মন্ত্রী জানতে পারেন চলতি বছর বিশ্বভারতীতে বন্ধ বসন্ত উৎসব। তাতেই বেজায় চটেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, “তারাপীঠে আসার পরই শুনলাই বিশ্বভারতীতে বন্ধ বসন্ত উৎসব। আমি শুনলাম উপাচার্য বীরভূমের বাসিন্দা। বীরভূমের মানুষ হয়ে বীরভূম তথা গোটা বাংলার ঐতিহ্য, আকর্ষণকে বন্ধ করে দিয়ে নিজের জেদকে লাগু করছেন তা নয়। হাজার হাজার মানুষের জীবিকা বন্ধ করে দিয়েছেন। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের।”
উল্লেখ্য, শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমীর দিন ১৯০৭ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট ছেলে শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঋতু উৎসবের সূচনা করেছিলেন। অনুষ্ঠান হয়েছিল প্রাককুটিরে, আজ যা শমীন্দ্র পাঠাগার। ধরে নেওয়া হয় ঋতু উৎসবের মধ্যে দিয়েই বসন্ত উৎসবের সূচনা হয়েছিল। প্রথম দিকে আম্রকুঞ্জে বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠিত হত। ভিড় বাড়লে তা সরিয়ে নিয়ে আসা হয় আশ্রম মাঠে।
চলতি বছর দোলের আগে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। বসন্ত উৎসবে ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা পাওয়া যায় না বলেই অভিযোগ করতে শোনা যায়। সে কারণেই বসন্ত উৎসব আগের মতো করে হবে না বলেও জানান তিনি। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি SangbadPratidin.in। সেই রেশ ধরেই চলতি বছরেও বিশ্বভারতীতে বন্ধ বসন্ত উৎসব।