কৃষ্ণকুমার দাস: গঙ্গার ভাঙন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্য়ান, ১০০ দিনের টাকা-সহ একাধিক বকেয়ার দাবিতে দিল্লিতে দরবার করতে যাচ্ছেন বাংলার বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শমতো এর জন্য বিধানসভায় শাসক-বিরোধীদের নিয়ে এক বিশেষ প্রতিনিধিদল তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে আলোচনা করতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) ফোন করলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay)। সূত্রের খবর, বিজেপির তরফে কে কে দিল্লি যাবেন, তা জানতেই ফোন করা হয়েছিল শুভেন্দুকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই কাজ করেছেন পরিষদীয় মন্ত্রী। তবে বিরোধী দলনেতা এখনও সমস্ত তথ্য জানাতে পারেননি বলেই সূত্রের খবর।
কেন্দ্রের কাছে একাধিক প্রকল্প বাবদ অনেক অর্থ বকেয়া রাজ্যের। বাংলার স্বার্থে সকলে মিলে দিল্লির কাছে তা মেটানোর দাবি করা হোক। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী এমনই পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেইমতো বিধানসভায় মোট ৯ জনের প্রতিনিধিদল তৈরি করা হয়। ৫ জন শাসকদলের, ৪ জন বিরোধী প্রতিনিধি। তাঁরাই যাবেন দিল্লিতে (Delhi)। বাংলার স্বার্থে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবি করবেন। বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ সেই প্রস্তাব পেশ করলে সর্বসম্মতিক্রমে তা গৃহীত হয়। ঠিক হয়, সেই দলে নেতৃত্ব দেবেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: ‘দলের পুরনো কর্মীরা ভাল নেই’, ফেসবুকে বিস্ফোরক তৃণমূলের নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ]
এরপরই কাজে গতি বাড়াতে তৎপর হয় প্রতিনিধিদলটি। বিজেপির তরফে ৪ জনের দিল্লি যাওয়ার কথা। কারা যাবেন, তা জানতে শুভেন্দুকে ফোন করেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, শুভেন্দু তাঁর কাছে বক্তব্যের খসড়া চেয়েছেন। জানিয়েছেন, খসড়া পেলে তবেই তাঁরা ঠিক করবেন কে কে দিল্লি যাবেন। শোভনদেব জানিয়েছেন, খসড়া প্রস্তুত করার পর তাঁকে পাঠানো হবে।
[আরও পড়ুন: ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, ধিক্কার জানাই’, সাকেতের গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
বৃহত্তর স্বার্থে হাতে হাত ধরে কাজ করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বরাবর পরামর্শ দিয়েছেন সমস্ত জনপ্রতিনিধিকে। এমনকী বিরোধীদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলার জন্য তিনি দলের বিধায়কদেরও বার্তা দিয়েছেন। সেইমতো শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে ফোন করেন। এবার কি তবে বাংলার বঞ্চনা ঘোচাতে বিরোধিতা বদলে যাবে সমন্বয়ে?