সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ”দুর্ভাগ্যজনক ভাবে যত সময় যাচ্ছে ততই বিরোধীদের জায়গা কমছে।” এমনই মন্তব্য করলেন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (NV Ramana)। জয়পুরে একটি অনুষ্ঠানে এই কথা বলতে শোনা গেল তাঁকে। তাঁর মতে, যত সময় যাচ্ছে ততই বিরোধী ও সরকারের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা কমছে। যা কোনও সুস্থ গণতন্ত্রে চিহ্ন হতে পারে না।
শনিবার রাজস্থান বিধানসভায় কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন রামানা। ঠিক কী বলেছেন তিনি? ওই অনুষ্ঠানে রামানা বলেন, ”রাজনৈতিক বিরোধিতাকে শত্রুতায় রূপান্তরিত করা উচিত নয়। দুঃখজনকভাবে এটাই আমরা আজকাল প্রত্যক্ষ করছি। এগুলি সুস্থ গণতন্ত্রের লক্ষণ নয়। সরকার ও বিরোধীপক্ষের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান থাকা উচিত। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বিরোধীদের জায়গা ক্রমেই কমছে।”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলির মনোভাবের কড়া সমালোচনা করেছিলেন রামানা। তিনি বলেন, “চলতি বছরে আমরা স্বাধীনতার ৭৫তম এবং প্রজাতন্ত্রের ৭২ বছর পালন করছি। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, আমরা এখনও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও তার ভূমিকার বিষয়ে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল নই।”
এরপরেই রামানা সোজাসাপটা বলেন, “ক্ষমতায় থাকা দল মনে করে, সরকারের যাবতীয় সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়া উচিত বিচার ব্যবস্থার। বিরোধীরা ভাবে, তাদের মতটির পক্ষে রায় দেওয়াই বাঞ্ছনীয়। এমন মনোভাবের কারণ, সংবিধানের গণতান্ত্রিক কার্যকারিতা সম্পর্কে তারা এখনও সম্পূর্ণভাবে অবগত নয়।” বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধান বিচারপতির এভাবে দেশের রাজনৈতিক দলগুলির সমালোচনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিনও রামানার বক্তব্যে সরকার ও বিরোধীদের মনোভাব নিয়ে তেমনই হতাশার সুরই লক্ষ করা যায়। তিনি বলেন, ”দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি দেশজুড়ে জনপ্রতিনিধিদের পারফরম্যান্সের ক্রমাবনতিরই সাক্ষী হতে হচ্ছে দেশকে।” এভাবেই একাধারে কেন্দ্র ও বিরোধী উভয়পক্ষকেই কার্যত ভর্ৎসনা করতে দেখা গেল তাঁকে।