সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: না, বড় কোনও শাস্তি হল না লিওনেল মেসির (Lionel Messi)। মাত্র দু’ম্যাচের জন্য আর্জেন্টাইন তারকাকে সাসপেন্ড করা হল। স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে বার্সেলোনা (Barcelona)।
স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন কম্পিটিশন কমিটি মেসির ভাগ্য নির্ধারণের উদ্দেশ্যে সভায় বসেছিল। সেই সভায় ঠিক হয়, মেসিকে দুটো ম্যাচ খেলতে দেওয়া হবে না। বার্সার হয়ে এই প্রথম লাল কার্ড দেখলেন। তাও আবার কিনা চড় মেরে। ফলে মেসির ফুটবল জীবনে সামান্য হলেও কালির ছিটে লাগল তো বটেই। ছ’বার ব্যালন ডি’ওর পুরস্কার প্রাপ্ত মেসি কীভাবে এমন কাণ্ড ঘটালেন তাই নিয়ে বিশ্ব ফুটবল মহলে গুঞ্জন তুঙ্গে। অনেকে মনে করছেন ফিজিক্যাল ফিটনেসে পিছিয়ে থাকার জন্যই এমন কাণ্ড ঘটাতে বাধ্য হয়েছেন মেসি।
[আরও পড়ুন: সিরিজ জয়ের আনন্দে কেঁদে ফেললেন শাস্ত্রী, ভাইরাল ড্রেসিংরুমে ভারতীয় কোচের ভাষণের ভিডিও]
উল্লেখ্য, স্প্যানিশ সুপার কাপ ফাইনালে বার্সেলোনা মুখোমুখি হয়েছিল অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে বার্সা ৩–২ গোলে হেরে বসে। ম্যাচের শেষলগ্নে মেসির পাস বাড়াবার সময় পথ আটকে ছিলেন বিলবাওয়ের ফরোয়ার্ড আসিয়েল ভিয়ালিব্রে। তৎক্ষণাৎ আসিয়েলকে চড় মেরে বসেন মেসি। প্রথমে রেফারি গিল মানসানোর ব্যাপারটা এড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পরে ভিডিও প্রযুক্তিতে পুরো ঘটনা দেখার পর মেসিকে লালকার্ড দেখাতে দ্বিধা করেননি রেফারি।
জীবনের ৭৫৪ নম্বর ম্যাচে এভাবে লাল কার্ড (Red Card) দেখে স্বয়ং মেসিও ভেঙে পড়েন। তখন ঠিক হয়, স্প্যানিশ ফুটবল সংস্থা বিষয়টা খতিয়ে দেখবে। যদি ঘটনায় ধরা পড়ত তিনি প্রকৃতপক্ষে হিংসাত্মক ব্যাপারটার সঙ্গে জড়িত, তাহলে তাঁকে ৪ থেকে ১২ ম্যাচ পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হত ‘এলএম টেন’কে। পরবর্তীকালে মেসিকে লাল কার্ড দেখানো নিয়ে বার্সেলোনার ম্যানেজার রোনাল্ড কোমান তোপ দাগলেও শাস্তি কিন্তু তাঁকে পেতেই হল। যদিও এই শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন জানাবে বার্সেলোনা।