ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিধানসভায় নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ। আর এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে বিধায়ক অম্বিকা রায় করেছেন RTI। গত দশ বছরে বিধানসভায় কতজনের চাকরি হয়েছে, তা তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চেয়েছেন তিনি। তবে বিজেপির অভিযোগ নিয়ে ক্ষুব্ধ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুকে তোপ দাগলেন তিনি।
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে বিধানসভায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেন, “২০১১ সাল থেকে বিধানসভার নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। আমাদের হাতে কিছু প্রমাণ রয়েছে। সেগুলো খুব তাড়াতাড়ি সকলের সামনে তুলে ধরব। মূলত গ্রুপ ডি পদে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দারা গ্রুপ ডি পদে বহাল হয়েছেন। ভুয়ো মার্কশিট দিয়ে চাকরি পেয়েছেন অনেকে এমন প্রমাণ রয়েছে। অষ্টম ও দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ যাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বেশিরভাগেরই জাল মার্কশিট। কেউ কেউ আবার মার্কশিট বাইরের রাজ্য থেকে এনেছেন।” শুভেন্দুর দাবির পরই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে RTI করেছেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। গত দশ বছরে বিধানসভায় কতজনের চাকরি হয়েছে, তথ্য জানার অধিকার আইনে তা জানতে চেয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোটদানের আরজিতে তৃণমূল সাংসদদের চিঠি শুভেন্দুর, বয়ান নিয়ে আপত্তি সৌগতর]
এ প্রসঙ্গে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) বলেন, “বিরোধীদের যদি বিধানসভার কর্মীদের নিয়ে অসন্তোষ থাকে তাহলে তাঁরা তাঁদের সাহায্য নেওয়া বন্ধ করুন। ওনার সচিবালয়ে তো অনেক বিধানসভার কর্মীরা রয়েছেন। তাহলে তাঁদের সাহায্য নেওয়া বন্ধ করে দিক।”
তাঁর আরও দাবি, “এমন অভিযোগে বিধানসভার মর্যাদাহানি হচ্ছে। এরকম ঘটনা এর আগে কখনও বিধানসভায় ঘটেনি। এখানে যাঁদের চাকরি হয়, প্রত্যেকের পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়। কারও নামে কোনও অভিযোগ থাকলে তা বাতিল হয়। বিরোধী দলনেতার সুপারিশে তিন জন কর্মী যুক্তি হয়েছেন। এ নিয়ে কী বলবেন উনি?” অন্যদিকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) শুভেন্দুর অভিযোগের ঘোরতর নিন্দা করেন। তাঁর বক্তব্য, “এসব কথার কোনও জবাব হয় না। এর কোনও গুরুত্বও নেই আমার কাছে।”