সুদীপ রায়চৌধুরি: বিলাসবহুল বাসবাহনে বাঙালিকে জগন্নাথ দর্শন করাতে কোমর বাঁধছে রাজ্য পর্যটন নিগম৷ ইংরেজি নতুন বছর থেকেই৷ শুধু জগন্নাথ দর্শনই বা কেন! সঙ্গে কোনারক, চিল্কা, সম্ভব হলে ভুবনেশ্বরও৷ এক কথায় গোটা ওড়িশা ভ্রমণের প্যাকেজ৷ রীতিমতো বিলাসবহুল ব্যবস্থাপনা৷ সরকারি রক্ষাকবচের নিশ্চিন্ততায়৷
এজন্য ওড়িশা রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগম বা ওটিডিসি-র সঙ্গে গাঁটছড়াও বাঁধা হচ্ছে৷ সূত্রের খবর, দুই রাজ্য সরকারি পর্যটন কর্তাদের মধ্যে কথাবার্তা প্রায় শেষ৷ এখন আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরপর্বটুকুই বাকি৷ বেসরকারি ট্রাভেল এজেন্সির চক্করে পড়ে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির দুর্ভোগ অবসানেই এহেন বৈপ্লবিক ভাবনা৷
শুধু এটুকুতেই ক্ষান্ত নয় বাংলার পর্যটন দফতর৷ বেসরকারি ট্রাভেল এজেন্সির ধাঁচে বাসে চাপিয়ে প্যাকেজ ট্যুরের পাশাপাশি পুরীতে ১২০ শয্যা বিশিষ্ট পর্যটক আবাস তৈরি করার আয়োজনও সম্পূর্ণ করে ফেলা হয়েছে৷ রাজ্যের পর্যটন সচিব অজিত বর্ধন জানাচ্ছেন, বাঙালিকে জগন্নাথ দর্শন করাতে পাঁচটি ‘মাল্টি-অ্যাক্সেল’ ভলভো বাস কিনছে রাজ্য পর্যটন নিগম৷ “প্রাথমিকভাবে দু’রকম ট্যুর প্যাকেজের কথা ভাবা হয়েছে৷ প্রথমটি ২ রাত এবং ৩ দিনের প্যাকেজ৷ দ্বিতীয়টি ৪ রাত এবং ৫ দিনের প্যাকেজ৷” বলছেন পর্যটন সচিব৷
ভ্রমণপ্রিয় হিসাবে বাঙালির খ্যাতি চিরন্তন৷ গরম বা পুজোর ছুটিতে তো বটেই, সুযোগ পেলেই পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে বাঙালি বেরিয়ে পড়ে হাওয়াবদলের উদ্দেশ্যে৷ আর ভ্রমনবিলাসী বাঙালির কাছে প্রথম ও প্রধান পছন্দ পুরী৷ বাঙালির এই পুরী-প্রেমকেই লক্ষ্মীলাভের পূঁজি করতে চাইছে রাজ্য পর্যটন নিগম৷ রাজ্য পর্যটন দফতর সূত্রে খবর, পুরী শহরের চার কিলোমিটারের মধ্যে গুন্ডিচা মন্দিরের কাছে পুরী-কোনারক মেরিন ড্রাইভ রোডের উপর পর্যটক নিবাস তৈরির জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এক একর জমি দিয়েছে ওড়িশা সরকার৷ সেই জমিতে পাশাপাশি দু’টি প্রকল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ প্রথমটি দুই তারা সুবিধা সমন্বিত একটি হোটেল৷ সমুদ্র সৈকত থেকে এক কিমি দূরে, ক্যাসুরিনা ঝাউবনের উল্টোদিকে যে হোটেলে থাকছে কনফারেন্স রুম, পানশালা, মাল্টি ক্যুইজিন রেস্তোরাঁ, গেমিং জোন, চিলড্রেনস পার্ক৷ সব ঠিকঠাক চললে ২০১৮-র মধ্যেই যুব আবাস ও হোটেল চালু হবে যাবে বলে পর্যটন কর্তাদের আশা৷
The post এবার সরকারি উদ্যোগে সস্তায় হবে জগন্নাথ দর্শন appeared first on Sangbad Pratidin.