ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মে মাসের রেশন ৯০ শতাংশ বিলি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রমজানের প্যাকেজ বণ্টনের অনেকটাই বাকি। জলে ভিজে ময়দা, চিনি, ছোলার সেই প্যাকেজ সবটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। হাতে আর সময়ও বেশি নেই। এই অবস্থায় নতুন করে রমজান প্যাকেজ বণ্টন নিয়ে চিন্তায় খাদ্যদপ্তর।
রাজ্যের পাঁচ রকম গ্রাহকের মধ্যে শুধুমাত্র অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা আর স্পেশ্যাল প্রায়রিটি হাউজহোল্ড (এসপিএইচএইচ) গ্রাহকদের মধ্যে সংখ্যালঘু মানুষের জন্য রমজান প্যাকেজ দেওয়ার ঘোষণা করেছিল সরকার।
অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনায় ৫৪ লক্ষ ৭২ হাজার ৮৩৬ মানুষ আর এসপিএইচএইচ পরিবারের জন্য মাথাপিছু ২ কোটি ৪৭ লক্ষ ১০ হাজার ৫৩৯ জন এই রমজান প্যাকেজ পান। আমফান ঝড়ের জেরে ২০ তারিখ দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র রেশন দোকান বন্ধ ছিল। এখনও ক্ষতিগ্রস্ত অনেক দোকান বন্ধ। ফলে এই দোকানগুলি থেকে এখনই আর শুধু রমজান প্যাকেজ কেন, কোনও রেশনই বণ্টন করা সম্ভব নয়। গত দু’দিনে যার জেরে এই এলাকাগুলির রেশন দোকান থেকে সেভাবে বিলি বণ্টনের খবরও আসেনি দপ্তরের কাছে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের পাঁচ জেলায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত, জানালেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়]
খাদ্যদপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “সর্বত্র আমাদের লোক পাঠানো হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট আশা করা হচ্ছে মিলবে। তারপরই সব জলে ভেজা শস্য সরিয়ে ফেলা হবে।” একইসঙ্গে চাষিদের থেকে যে ধান সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে, তা-ও অন্য জায়গায় সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। তবে তারও পরিস্থিতি জানতে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে জেলাগুলির কাছে। এই মুহূর্তে উত্তর-দক্ষিণ কলকাতার পাশাপাশি প্রচুর ক্ষতি হয়েছে হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশে। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের সংখ্যা ২৭৮। ৯৩টা দোকান মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। এই দোকানগুলি বন্ধ রাখার হয়েছে।
রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, “গোটা পরিস্থিতি দপ্তরকে জানানো হয়েছে। সংগঠনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, খারাপ আমরা মাল দেব না। দরকারে রেশন দেওয়া বন্ধ রাখব। কিন্তু খারাপ মাল দেব না।” তাঁর কথায়, “শুধু যা ভিজেছে সেই শস্যই নষ্ট হয়েছে তা নয়। আর্দ্রতা টেনে আরও অনেকটা অংশ নষ্ট হবে। দ্রুত সেসব বের করে ফেলতে হবে।”
The post নষ্ট হল রেশনের বিশেষ রমজান প্যাকেজ, দ্রুত ভেজা শস্য সরাচ্ছে খাদ্যদপ্তর appeared first on Sangbad Pratidin.