shono
Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী কে? অন্তর্দ্বন্দ্বের আশঙ্কায় দুই রাজ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক কংগ্রেসের

নবীন না প্রবীণ, কাদের বাছবেন রাহুল? The post মুখ্যমন্ত্রী কে? অন্তর্দ্বন্দ্বের আশঙ্কায় দুই রাজ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক কংগ্রেসের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 02:54 PM Dec 12, 2018Updated: 02:54 PM Dec 12, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর আসল পরীক্ষাটা সম্ভবত মঙ্গলবারই শুরু হয়েছে। তিন রাজ্যে জয় তো পেয়েছেন, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হবেন কে? এই প্রশ্নটিই এখন চিন্তার ভাঁজ ফেলছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের কপালে। সমস্যাটা মূলত রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশকে ঘিরে। ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, সেরাজ্যেও লড়াইয়ে রয়েছে জনা চারেক নেতা। তবে, তাদের কেউই জাতীয় রাজনীতিতে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নন। তাছাড়া ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় দলে ভাঙন ধরার সম্ভাবনাটাও কম। তাই ছত্তিশগড়ের অঙ্কটা অনেক সহজ। কিন্তু মূল সমস্যা মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান।

Advertisement

[ঘোরতর সমালোচনার পরও দুই রাজ্যে কংগ্রেসকে সমর্থন মায়াবতীর]

রাজস্থান: রাজস্থানে রাজে-রাজের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ না হলেও নির্দল এবং মায়াবতীর সমর্থনে সরকার গড়তে কোনও সমস্যা হবে না কংগ্রেসের। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সেটাই বড় প্রশ্ন। লড়াইয়ে দু’জন। এক, শচীন পাইলট। রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। ২০১৩ সালে রাজস্থান কংগ্রেস কার্যত নিঃশেষিত হয়ে যাওয়ার পর পাঁচ বছর ধরে গোটা রাজ্য চষে ফেলেছেন তিনি। তাঁর চেষ্টাতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। তাই জয়ের পিছনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাছাড়া রাহুল গান্ধীর অত্যন্ত স্নেহভাজন তিনি। দলেও সমর্থন আছে বেশ।

রাজস্থান কংগ্রেসের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী অশোক গেহলট। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং দীর্ঘদিনের পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। এই মুহূর্তে দিল্লিতে কংগ্রেসের স্ট্র্যাটেজিক টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য গেহলট। রাজস্থানেও তাঁর বিপূল জনপ্রিয়তা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেষ মুহূর্তে গেহলট আসরে না নামলে রাজস্থানে কংগ্রেসের ফেরা মুশকিল ছিল। আর তাছাড়া কংগ্রেসের ছোটখাটো জোটসঙ্গীরাও গেহলটকেই চাইছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর পদের তিনিও বড়সড় দাবিদার।

মধ্যপ্রদেশ: রাজস্থানের মতোই মধ্যপ্রদেশে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন এই কঠিন ধাঁধাঁটির সমাধান করতে হবে রাহুল গান্ধীকে। মধ্যপ্রদেশে কমল নাথের নেতৃত্বে নির্বাচন লড়েছে কংগ্রেস। তাছাড়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পিছনে সমর্থন রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংয়ের গোষ্ঠীরও। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় রাজনীতিতে যুক্ত থাকা কমল নাথের জন্য এটিই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার শেষ সুযোগ।  অন্যদিকে রয়েছেন তরুণ তুর্কি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। রাজ পরিবারের ছেলে সিন্ধিয়া মধ্যপ্রেদেশের তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। তাছাড়া প্রচারেও রাহুল গান্ধীর পর সবচেয়ে বেশি সাড়া ফেলেছিলেন তিনিই। অনেকে বলেন, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের প্রচারের অঘোষিত মুখ ছিলেন সিন্ধিয়ায়। তাই মুখ্যমন্ত্রী পদের জোরাল দাবিদার তিনি।

[রাতভর টানটান উত্তেজনার পর মধ্যপ্রদেশেও শেষ হাসি কংগ্রেসের]

রাহুল গান্ধীর কাছে মূল সমস্যা হল দুটি। এক নবীন প্রবীণ দুই গোষ্ঠীর এই বিবাদে তিনি যে পক্ষই নেন অসন্তুষ্ট হতে পারে অপর পক্ষ। আর দ্বিতীয়টি আরও গুরুতর। রাজস্থান বা মধ্যপ্রদেশ কোনও রাজ্যেই বিশাল ব্যবধানে জেতেনি কংগ্রেস। তাই দলের কোনও এক গোষ্ঠীর বিধায়করা বিমুখ হলে সরকার চালাতে সমস্যা হবে। এখন দেখার রাহুল কীভাবে এই জটিলতা কাটিয়ে গোটা দলকে একত্রিত করেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, ভোটের আগে যে নৈপুণ্যের সঙ্গে তিনি নবীন-প্রবীণের এই দ্বন্দ্ব সামলেছেন, তাতে মুখ্যমন্ত্রী বাছতেও খুব একটা সমস্যা হবে না রাহুলের।

The post মুখ্যমন্ত্রী কে? অন্তর্দ্বন্দ্বের আশঙ্কায় দুই রাজ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক কংগ্রেসের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement