shono
Advertisement

নিজের নামের পার্কেই বানান বিভ্রাট, রেহাই পেলেন না সত্যজিৎ রায়ও

খাস কলকাতায় সৌন্দর্যায়নের নামে দৃশ্য দূষণ! The post নিজের নামের পার্কেই বানান বিভ্রাট, রেহাই পেলেন না সত্যজিৎ রায়ও appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 08:31 PM Mar 18, 2019Updated: 09:06 PM Mar 18, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবার হাত ধরে বাঙালি পেয়েছিল সাহিত্যরস৷ হ-য-ব-র-ল’র পাতায় চন্দ্রবিন্দুর চ, বেড়ালের তালব্য শ আর রুমালের মা – এভাবেই শিখেছিল ‘চশমা’ বানান৷ আর ভুল হওয়ার কোনও জো ছিল না৷ কিন্তু আজ সেদিন গিয়াছে৷ সুকুমার রায়ও নেই৷ ননসেন্স রসে টইটম্বুর সাহিত্যপাঠকের সংখ্যাও কমেছে৷ তাতে কী? বাবার তৈরি সেই উদ্ভটরসের প্রয়োগই এখন ঘটেছে ছেলের নামের বানানে৷ বেশি দূর নয়, শহরের আনাচেকানাচেই চোখে পড়বে তার নিদর্শন৷ যেমন পাটুলি-বৈষ্ণবঘাটা অঞ্চলে দেখা গেল৷

Advertisement

গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি৷ এই ছিল শহরের সৌন্দর্যায়নে রাজ্য সরকারের স্লোগান৷ যে সৌন্দর্যায়নের কাজের দায়িত্বে কলকাতা পুরসভা৷ কাজে হাত দেওয়ার পর ধুলো, ময়লার শহরের চেহারা ইদানিং একটু যেন সাফসুতরো হয়েছে৷ গাছপালা বসেছে, পার্ক তৈরি হয়েছে৷ তেমনই একটি সত্যজিৎ পার্ক৷ ঠিকানা, পাটুলি-বৈষ্ণবঘাটা অঞ্চলে৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে, সত্যিই সবুজায়ন হয়েছে৷ সত্যজিৎ রায়ের একটি মূর্তি, ক্যামেরায় চোখ রেখে নির্দেশনার ভঙ্গিমা৷ যা বাঙালির কাছে সুপরিচিত৷ মূর্তিটি সবুজ রঙের৷ মূর্তির নিচের বেদী – তাতেও শ্যামলিমা৷ সবই গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি-র অংশ৷

মনোনয়ন জমার সময় প্রার্থীকে দেওয়া হবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানাল কমিশন

এরপর চোখ আটকে গেল একটি জায়গায়৷ দেখা গেল, ‘সত্যজিৎ’ বানান রয়েছে ‘সৎ্যজিত’! বিস্ময় আর কাটে না৷ এমনও লেখা যায়! ভাবতে ভাবতেই কোনও এক ‘দুষ্টু’ ব্যক্তি মোবাইলটি বের করে তুলে নিলেন – ক্লিক৷ ব্যস, আর কী? প্রায় আলোর গতিতে নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে লাগল পুরসভা কাজকম্মের পরিচয়৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় চক্রাকারে ঘুরতে লাগল সত্যজিৎ পার্কের ‘সৎ্যজিত’ মহিমা৷ বুঝুন কাণ্ড! যে অক্ষরের পূর্ণমাত্রাই নেই, তাতে আবার য-ফলা? বানান ভুল একটা সাধারণ ব্যাপার৷ অনেকেরই হয়৷ বিশেষত কিংকর্তব্যবিমূঢ়, কুজ্ঝ্বটিকা, উর্ধ্বমুখী – এমনই আরও অনেকের৷ তা ’বলে ‘সৎ্যজিত’! নাঃ, কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না৷ মানছেন না বলেই তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে৷

 

কলকাতা থেকে উদ্ধার আরামবাগের অপহৃত ব্যবসায়ী, গ্রেপ্তার ১

শহরজুড়ে বানান বিভ্রাটের এমন ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে৷ শুধু কি বানান? সৌন্দর্যায়নের নামে যেসব মূর্তি বানানো হয়, তার অনেকগুলো দেখে মনে হয়, কাঠ, ছেনি,হাতুড়ি, রং দিয়ে শুধুই যান্ত্রিকভাবে মানুষের অবয়ব গড়া হয়েছে৷ শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনের আশেপাশে রেলিং দিয়ে ঘেরা হয়েছে৷ একপাশে একটু বড় জায়গা দেখে বসানো হয়েছে বেশ কয়েকটি মূর্তি৷ এক বিখ্যাত ছবির একটি দৃশ্যের শুটিংয়ের কথা বলছে সেই শিল্পকর্ম৷ ‘পথের পাঁচালি’ ছবির সেই বিখ্যাত দৃশ্য অপু-দুর্গার ট্রেন দেখা৷ সত্যজিৎ রায় সেই দৃশ্যের শুটিং করছেন, এই মর্মে মূর্তি বানানো৷ কিন্তু ডিরেক্টরের জায়গায় যাঁকে বসানো হয়েছে, তিনি সত্যজিৎ রায় না অন্য কেউ, বোঝার উপায় নেই৷ না আছে মুখের আদল, না আছে চেহারার মিল৷ সুতরাং, এইই হল হালফিলের সৌন্দর্যায়নের নমুনা৷ অনেকেরই সমালোচনা, বানানের এমন ঘোরতর বিকৃতি সৌন্দর্যায়নের উদ্দেশ্যকেই মাটি করছে৷   

The post নিজের নামের পার্কেই বানান বিভ্রাট, রেহাই পেলেন না সত্যজিৎ রায়ও appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement