সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনে নতুন নাটক। সদ্য নির্বাচিত সভাপতি সঞ্জয় সিং-সহ গোটা কমিটিকে সাসপেন্ড করে দিল ক্রীড়ামন্ত্রক। ক্রীড়ামন্ত্রক বলছে, কুস্তি ফেডারেশন সংবিধান না মেনে কাজ করছে। সেকারণেই সাসপেন্ড করা হল। তবে, পুরোপুরি কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ব্রিজভূষণের ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিং। ফেডারেশন ব্রিজভূষণকে নির্বাসিত করায় তিনি দাঁড় করান নিজের ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিংকে। ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল মোট ৪৭টি ভোটের ৪০টিই পড়ে তাঁর পক্ষে। প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের সমর্থিত অনিতা শেওরান সেভাবেই লড়াই-ই দিতে পারেননি ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠ সঞ্জয়কে। ঘনিষ্ঠ অনুচর ফেডারশনে নির্বাচিত হওয়ায় কোনও পদে না থাকলেও বকলমে কুস্তি ফেডারেশনের সব ক্ষমতা চলে যায় ব্রিজভূষণের হাতেই।
[আরও পড়ুন: ‘কাল আমার বিয়ে চলে আয়!’ এক কাপড়েই মাহি ভাইয়ের বিয়ে খেয়েছিলেন রায়না!]
এর প্রতিবাদ শুরু হয় কুস্তিগিরদের তরফে। সঞ্জয় সিং দেশের কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান হওয়ার প্রতিবাদে অলিম্পিক পদকজয়ী সাক্ষী মালিক খেলা ছেড়েছেন। পদ্মশ্রী পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন অলিম্পিক পদকজয়ী বজরং পুনিয়া। মুক ও বধির কুস্তিগির বীরেন্দ্র সিং যাদবও পদ্মশ্রী (Padma Shri Award) সম্মান প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু এত প্রতিবাদেও দমতে নারাজ ব্রিজভূষণ। এসব প্রতিবাদের মধ্যেই রবিবার ক্রীড়ামন্ত্রক কুস্তি ফেডারেশনের কমিটিকে সাসপেন্ড করে দিল।
[আরও পড়ুন: হরমনের জোড়া উইকেটে ধরাশায়ী অস্ট্রেলিয়া, ফের টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছে ভারত]
আসলে বৃহস্পতিবার নির্বাচিত হওয়ার পরেই জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-২০ স্তরের প্রতিযোগিতার কথা ঘোষণা করেছেন সভাপতি সঞ্জয় সিং। কিন্তু সেই ঘোষণার আগে ফেডারেশনের কোনও বৈঠক ডাকা হয়নি। এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যদেরও জানানো হয়নি। সেই অজুহাতেই কমিটি ভেঙে দিয়েছে ক্রীড়ামন্ত্রক। তবে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, কমিটি এভাবে ভেঙে দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে কুস্তিগিরদের প্রতিবাদও। যদিও সাক্ষী মালিক বলছেন, “না আঁচালে বিশ্বাস নেই। সরকার এখনও লিখিত কিছু দেয়নি। আমাদের লড়াই ভবিষ্যতের কুস্তিগিরদের জন্য। আশা করি ওরা সুবিচার পাবে।”