সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগ্য জবাব দেওয়া বোধহয় একেই বলে। চিনের চক্রান্তে এশিয়ান গেমস (Asian Games 2023) অভিযানে সঙ্গ পাননি বন্ধুদের। যাঁদের সঙ্গে অনুশীলন করতেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা এশিয়াডে যেতে পারেননি স্রেফ চিন ভিসা না দেওয়ায়। উশুতে (Wushu) পদক জিতে সেই অরুণাচলের বন্ধুদেরই উৎসর্গ করলেন মণিপুরের মেয়ে নাওরেম রোশিবীণা দেবী। তাঁর এই পদকজয় যেন ‘চক্রান্তকারী’ চিনের মুখে সপাটে চড়।
এশিয়ান গেমসে উশুতে মেয়েদের ৬০ কেজি বিভাগে রূপো জিতেছেন মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার এক ছোট্ট গ্রামের মেয়ে রোশিবীণা (Roshibina Devi)। হ্যাঁ সেই মণিপুর, গত কয়েকমাস ধরে যে রাজ্য কার্যত অগ্নিগর্ভ। এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতির মাঝেও প্রতি মুহূর্তে নিজের রাজ্য, নিজের বাড়ি নিয়ে চিন্তা করে যেতে হয়েছে রোশিবীণাকে। বাড়ির সকলে ঠিক আছে তো? এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতির ফাঁকে পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবেছেন সব সময়। পদক জিতে তাই সর্বাগ্রে মণিপুরবাসীর কথাই ভেবেছেন তিনি। বলছেন,”যারা মণিপুরের জন্য লড়ছে তাঁদের জন্য এই পদক উৎসর্গ করব।”
[আরও পড়ুন: চিনের ছক বানচাল! ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে বড় সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কার]
পরিবার নিয়ে আশঙ্কা শুধু নয়, চিনে গিয়ে অনুশীলনের সুযোগটাও ঠিকমতো পাননি রোশিবীণা। কারণ যাদের সঙ্গে তিনি অনুশীলন করেন, তাঁদের এশিয়াডে যাওয়ার ভিসাই দেয়নি চিন। ওনিলু টেগা, নাইমান ওয়াংসু ও মেপুং লামগু নামের অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) বাসিন্দা তিন উশু খেলোয়াড়ের ভিসার আবেদনে সিলমোহর দেয়নি চিনা প্রশাসন। এরা সকলেই রোশিবীণার বন্ধু। আসলে ভারত উশু খেলোয়াড়ের সংখ্যা কম। যে কজন খেলেন, তাঁরা পরিবারের মতোই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখে চলেন। বন্ধুরা ভিসা না পাওয়ায় তাই মন খারাপ ছিল রোশিবীণার। সেই মন খারাপ আর অনুশীলনের অভাব কাটিয়ে পদক জয়।
[আরও পড়ুন: ‘কিছুই বদলাবে না’, ম্যাপ বিতর্কে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনকে তোপ রাশিয়ার!]
মণিপুরী (Manipur) কন্যা বলছেন, “যে তিন বন্ধুকে এখানে পেলাম না, তাদের জন্যে এই পদক উৎসর্গ করছি। আমি সব সময় ওনিলুর সঙ্গে থাকি। একসঙ্গে অনুশীলন করি। আমরা খুব ভাল বন্ধু।” রূপোজয়ী ভারতীয় অ্যাথলিটের কথা, “এ ধরনের বড় প্রতিযোগিতায় পাশে পরিচিত কাউকে পেলে ভাল লাগে।” পদকজয়ের জন্য রোশিবীণাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।