সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাস গড়েছেন হিমা দাস। অসম-সহ গোটা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন তিনি। তাই সোনার মেয়ে হিমাকেই রাজ্যের ‘স্পোর্টস অ্যাম্বাসাডর’ করা হবে বলে ঘোষণা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল।
এক জনসভায় সোনোওয়াল জানান, নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশ ও রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করেছে হিমা। অসমের খেলোয়াড়দের মধ্য যে প্রতিভা রয়েছে তা বিশ্বমঞ্চে দেখিয়ে দিলেন হিমা। তাই খেলার জগতে রাজ্যের বার্তা পৌঁছে দেবেন হিমাই। প্রথম ভারতীয় হিসেবে আন্তর্জাতিক দৌড় প্রতিযোগিতায় সোনা জেতার অনন্য নজির গড়েছেন হিমা। ফিনল্যান্ডের ট্যাম্পারে অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে ৪০০ মিটার দৌড়ে সোনা জিতেছেন অসমের মেয়ে। মাত্র ৫১.৪৬ সেকেন্ডে ৪০০ মিটার প্রতিযোগিতা শেষ করেন হিমা। অনুর্ধ্ব-২০ প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতে প্রথম ভারতীয় হিসেবে কোনও আন্তর্জাতিক দৌড় প্রতিযোগিতায় সোনা জেতার অনন্য নজির গড়েন অসমের অখ্যাত গ্রামের অষ্টাদশী। এর আগে অনুর্ধ্ব-২০ অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতায় ভারতীয় হিসেবে পদক জেতার নজির রয়েছে মাত্র তিনজনের। তারা হলেন সীমা পুনিয়া (ব্রোঞ্জ, ডিসকাস), নভজিত কৌর ধীলোঁ ( ব্রোঞ্জ, ডিসকাস), নীরজ চোপড়া (সোনা, জ্যাভলিন)।
পেশাদার সার্কিটে দৌড় শুরু করেছেন ১৮ মাস আগে। বছর দেড়েক আগেও আন্তর্জাতিক সার্কিটে এত সাফল্যের কথা ভাবতে পারতেন না হিমা। বাবা সামান্য ধানচাষি। ছোটবেলায় চাষের কাজে বাবাকে সাহায্যও করতেন অসমের নগাঁও জেলার অখ্যাত ঢিঙা গ্রামের হিমা। ছোটবেলায় খেলাধুলো শুরু করেন ফুটবল দিয়ে। স্থানীয় ছেলেদের সঙ্গেই ফুটবল খেলতেন তিনি। ফুটবল খেলতে খেলতেই স্থানীয় এক অ্যাথলেটিক কোচের নজরে পড়েন হিমা। জেলাস্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সময় জেলা ক্রীড়া আধিকারিক নিপন দাস দেখেন হিমাকে। এরপর তাঁর কোচিংয়ের দায়িত্ব নেন নিপন। একের পর এক সাফল্য পেতে থাকেন হিমা। স্বাভাবিকভাবেই চরম দারিদ্র্যের মধ্যে থেকে উঠে আসা হিমার আন্তর্জাতিক সার্কিটে এই কৃতিত্বে গর্বিত দেশবাসী। এবার সেই স্বীকৃতি এল নিজের রাজ্য থেকেও।
[হিমা দাসকে গোমাংস ভক্ষণের পরামর্শ, বিতর্কে গায়ক জুবিন গর্গ]
The post অসমের প্রথম স্পোর্টস অ্যাম্বাসাডর হতে চলেছেন সোনার মেয়ে হিমা দাস appeared first on Sangbad Pratidin.