সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রনজি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলার জয়জয়কার। ঝাড়খণ্ডকে একেবারে উড়িয়ে দিয়ে শেষ চারের টিকিট পাকা করে ফেলল বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকালেন মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি।
মন্ত্রী হিসেবে সদা ব্যস্ত তিনি। তা সত্ত্বেও ২২ গজের প্রতি দায়িত্বেও যে এতটুকু অবহেলা করেন না, সে প্রমাণই দিলেন ফের। প্রথম ইনিংসে ৭৩ রান করে আউট হয়েছিলেন মনোজ (Manoj Tiwari)। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে খেললেন আরও ভরসা যোগ্য ইনিংস। মারকাটারি ব্যাটিং করে করলেন ১৩৬ রান। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ২টি ছক্কা এবং ১৯টি বাউন্ডারি দিয়ে। প্রথম ইনিংসে যাঁরা তাঁর মন্থর ইনিংস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ব্যাট হাতেই তাঁদের মুখ বন্ধ করে দিলেন রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। বুঝিয়ে দিলেন, ক্রিকেটকে আজও ততটাই ভালবাসেন।
[আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারের জন্য দায়ী পিচ! লজ্জার নজির গড়ে সাফাই পন্থের]
হাঁটুর চোট সারিয়ে বাংলা দলে কামব্যাক করেছিলেন মনোজ। তবে একটি অর্ধশতরান ছাড়া গ্রুপ পর্বে খুব বেশি রান করতে পারেননি। কিন্তু নকআউটে ধরা দিলেন দুরন্ত ছন্দে। দ্বিতীয় ইনিংসে এল কাঙ্খিত শতরান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৮টি সেঞ্চুরির মালিক হয়ে গেলেন মনোজ।
ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই দাপটের সঙ্গে খেলেছেন অরুণ লালের ছেলেরা। যে সৌজন্যে রনজি ট্রফিতে (Ranji Trophy) ইতিহাসও গড়ে বাংলা (Bengal)। প্রথম ইনিংসে বাংলার প্রথম ৯ ব্যাটারই পঞ্চাশ বা তাঁর বেশি রান করেন। বিশ্বের প্রথম দল হিসাবে এই বেনজির কৃতিত্বের মালিক হয় বাংলা। প্রথম ইনিংসে ১৮৬ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেন সুদীপ ঘরামী। তাঁর পাশাপাশি আরও একবার বাংলার জার্সিতে নিজের ইনিংস স্মরণীয় করে রাখলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। তাঁর সংগ্রহ ১১৭ রান। ৭ উইকেটে ৭৭৩ রান করে প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করেছিল বাংলা। সেখানে ঝাড়খণ্ড গুটিয়ে যায় মাত্র ২৯৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে টপ অর্ডার নড়বড়ে হয়ে পড়লেও ততক্ষণে সেমিফাইনালে যাওয়া পাকা হয়ে গিয়েছিল অরুণ লালের দলের। ৭ উইকেটে ৩১৮ রান করে ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে বাংলা। ম্যাচ ড্র হলেও প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকেই শেষ চারে পৌঁছে গেল বাংলা।