স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের সুপার ডিভিশনের ম্যাচ শেষ হয়েছে। তবে সুপার সিক্সের ম্যাচ নির্বিঘ্নে হবে কি না, তা নিয়ে প্রবল সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কারণ, মাঠের সমস্যার পাশাপাশি রয়েছে পুলিশের অনুমতির ব্যাপার। আইএফএ (IFA) আপাতত ঠিক করেছে, ২২ অথবা ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে সুপার সিক্স শুরু করবে। পুজোর আগে অন্তত দুটো ম্যাচ করে বাকি ম্যাচগুলি পুজোর পর করতে চায় তারা।
সুপার সিক্সের ম্যাচ করা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনার জন্য সোমবার আইএফএ সভাপতি, সচিব এবং দুই সহ-সভাপতির সঙ্গে আলোচনায় বসেন ক্রীড়ামন্ত্রী। সেই আলোচনায় অবশ্য পরে আসেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্তও। যদিও এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন না ইস্টবেঙ্গল-মহামেডানের (Mohamedan SP) কোনও প্রতিনিধি। আলোচনা শেষে কোনওপক্ষই জানেন না, এই মরশুমে আদৌ সুপার সিক্সের (Super Six) ম্যাচ হবে কি না। হলেও মোহনবাগান খেলবে কি না, তা নিয়ে বিশাল প্রশ্ন। কারণ, আগে ফুটবলারের সমস্যা বললেও মোহনবাগান (Mohun Bagan) এবার তাদের খেলা না খেলার ব্যাপারটা পুরো আইএসএলের (ISL) উপর ছেড়ে দিয়েছে। আইএসএল খেলতে গেলে কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। তা মিটিয়ে লিগে খেলা সম্ভব কি না, তা ঠিক করার জন্য আইএফএকে এফএসডিএলের (FSDL) সঙ্গে কথা বলতে বলেছে। ফলে মোহনবাগানের সঙ্গে এই মরশুমের কলকাতা লিগ শেষ হওয়া নিয়েও তীব্র অনিশ্চয়তা।
[আরও পড়ুন: ২০৮ রান করেও বোলারদের ব্যর্থতায় হারতে হল ভারতকে, সিরিজে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া]
এর মধ্যেই বাংলায় ফুটবলকে ঘিরে এখন রাজনীতির মেরুকরণের চেষ্টা চলছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাজ্যে খেলা হবে দিবস শুরু করেছেন। সঙ্গে কলকাতা ময়দানের বিভিন্ন ক্লাবকে দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে সাহায্য করে আসছেন। এবার বিজেপিও (BJP) মানুষের কাছাকাছি পৌঁছনোর জন্য ফুটবলকে হাতিয়ার করতে চলেছে। চেষ্টা চলছে, বাংলার বিভিন্ন ক্লাবের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের কথা খুব সহজে পৌঁছে দেওয়া। কারণ, দুর্গা পুজোর পাশাপাশি বাংলার ফুটবলের সঙ্গেও এখন গভীর সংযোগ বাড়াতে চাইছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপের আগে বহু নিয়ম পালটে ফেলল আইসিসি, আরও সুবিধা পাবেন ব্যাটাররা?]
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ফুটবলের মাধ্যমে খুব সহজেই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়। বাংলার ক্লাবগুলির সঙ্গে রাজ্য সরকারের যে নিবিড় যোগাযোগ, তা চোখে পড়েছে বাংলার বিজেপি নেতৃত্বের। বাংলার বিভিন্ন ক্লাবগুলির কাছে ফুটবলের মাধ্যমে পৌঁছতে চাইছে তারা। এরমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল, কলকাতা ময়দানেরই কিছু মানুষ বিজেপির এই অভিপ্রায়কে রীতিমতো সহায়তা করছেন। যা নিয়ে ময়দানে প্রবল আলোড়ন। এরই মধ্যে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটিকে স্পনসর হিসেবে পেল আইএফএ।