চার্চিল ব্রাদার্স: ২ (অ্যান্টনি, লিংডো)
মোহনবাগান: ১ (প্রবীর)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত কাণ্ড গোয়াতে৷ চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে পিছিয়ে গিয়ে তখন ম্যাচ বাঁচানোর জোর লড়াই চালাচ্ছেন জেজে, ডাফিরা৷ আর ঠিক তখনই নিভে গেল মাঠের ফ্লাডলাইট৷ অন্ধকারে ঢাকল গোয়ার তিলক ময়দান৷ নির্ধারিত সময় পেরিয়ে ইনজুরি টাইম শুরু হওয়ার পর একদিকের লাইট জ্বললেও তা খেলা শুরু করার জন্য যথেষ্ট ছিল না৷ ৯৮ মিনিটে ফের নিভে যায় সমস্ত আলো৷ আধ ঘণ্টা অপেক্ষার পর ম্যাচ শুরু হলেও জয় অধরাই থেকে গেল বাগানের৷
(পেইনের জোড়া গোলে অ্যাওয়ে ম্যাচ পকেটে পুরল ইস্টবেঙ্গল)
ক্লাব ভ্যালেন্সিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে এএফসি কাপের মূলপর্বে প্রবেশ করার পর শনিবার ফের আই লিগে মন দিয়েছিলেন মোহনবাগান ফুটবলাররা৷ এদিন সোনি, কাটসুমি, ডাফি ও এডু, চার বিদেশিকে রেখেই দল সাজিয়েছিলেন কোচ সঞ্জয় সেন৷ তাই শুরু থেকেই সর্বশক্তি দিয়ে বিপক্ষের ডেরায় হানা দিয়েছিলেন বাগান ফুটবলাররা৷ সুতরাং গোলমুখ খুলতেও খুব বেশি সময় লাগেনি৷ তবে কোনও বিদেশি নয়, গোয়ার দলের বিরুদ্ধে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে এগিয়ে দিলেন প্রবীর দাস৷ আর গোল হজম করার পরেই ক্ষুধার্থ সিংহের মতো হিংস্র হয়ে উঠল হোম ফেভরিটরা৷ প্রথমার্ধে তাদের আটকে রাখা গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে দেন ডেরেকের ছেলেরা৷ ফলস্বরূপ ৬৫ মিনিটে সমতায় ফেরে দল৷ সোলো রানে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল বাগানের জালে জড়িয়ে দেন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর স্ট্রাইকার অ্যান্টনি৷ মিনিট দশেক পর লিংডোর নিখুঁত হেডারে এগিয়ে যায় চার্চিল৷ তারপরই ঘটল অঘটন৷ ম্যাচের বয়স তখন ৮০ মিনিট৷ ফ্লাডলাইট নিভে কালো অন্ধকারে ঢেকে গেল মাঠ৷ বন্ধ হল ম্যাচ৷
(বিধ্বংসী লিয়নের আট উইকেট, ধরাশায়ী টিম ইন্ডিয়া)
অবশেষে নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা পর ফের মাঠে নামেন দু’পক্ষের খেলোয়াড়রা। তবে লিগ তালিকার আট নম্বরে থাকা চার্চিলের বিরুদ্ধে আর ম্যাচে ফিরতে পারেননি জেজেরা। ফলে খালি হাতেই মাঠ ছাড়লেন বাগান ফুটবলাররা। গঙ্গাপারের ক্লাব হেরে যাওয়ায় লিগ জয়ের দৌড়ে বাড়তি অ্যাডভানটেজ পেয়ে গেল লিগ তালিকার প্রথম দুটি দল ইস্টবেঙ্গল এবং আইজল এফসি। বলাইবাহুল্য এদিনের পর ১০ ম্যাচে ২১ পয়েন্টে তিন নম্বরে থাকা সঞ্জয় সেনের দল বেশ চাপে পড়ে গেল।
The post ফ্লাডলাইট বিভ্রাটের ম্যাচে চার্চিলের কাছে হার বাগানের appeared first on Sangbad Pratidin.