সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ মার্চ বাংলা ভাগ হয়ে যাওয়ার সেই বড় ম্যাচ। রবিবারের ডার্বি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) হোম ম্যাচ। আর সেই ম্যাচেই দুই ক্লাবের টিকিটের দামের মধ্যে মারাত্মক ফারাক দেখা যাচ্ছে।
আয়োজক ইস্টবেঙ্গল নিজেদের সমর্থকদের জন্য টিকিটের দাম কম রেখেছে। কিন্তু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান গ্যালারির টিকিটের দাম তার থেকে অনেকটাই বেশি ধার্য করা হয়েছে। টিকিটের দামের এহেন বৈষম্যের জন্যই ময়দানে উঠছে নানা প্রশ্ন। চলছে বিতর্কও।
আইএসএলের পয়েন্ট তালিকায় ইস্টবেঙ্গল এখন অনেকটাই পিছিয়ে। লাল-হলুদ ব্রিগেড প্লে অফে পৌঁছতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
কলকাতার ফুটবল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, সেদিন মোহনবাগান (Mohun Bagan) সমর্থকরা যাতে কম সংখ্যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত থাকেন, সেই কারণেই ইস্টবেঙ্গল টিকিটের দামে এতটা পার্থক্য রেখেছে। আবার এমনও বলা হচ্ছে, সেদিন লাল-হলুদ সমর্থকদের সংখ্যা যাতে সবুজ-মেরুনের তুলনায় বেশি থাকে স্টেডিয়ামে , সেজন্যই এমন ব্যবস্থা করেছে তারা।
[আরও পড়ুন: ছক্কা হাঁকানোর শক্তিই নেই বাবরদের! অভিনব প্রশিক্ষণের ভাবনা পিসিবির]
লাল-হলুদ গ্যালারির সি টু (রাইট)-এর টিকিটের দাম ৪০০ টাকা। সেখানে মোহনবাগানের সি টু (লেফট) গ্যালারির টিকিটের দাম বরাদ্দ করা হয়েছে পাঁচশো টাকা।
ইস্টবেঙ্গলের সি থ্রি (রাইট) গ্যালারির টিকিটের দাম ২০০ টাকা। অন্যদিকে মোহনবাগানের দিকে সি থ্রি (লেফট) গ্যালারির টিকিটের দাম ৩৫০ টাকা।
ইস্টবেঙ্গলের সি ওয়ান (রাইট) গ্যালারির দাম ২০০টাকা। মোহনবাগানের সি ওয়ান (লেফট) গ্যালারির টিকিটের দাম ধার্য হয়েছে ৩৫০ টাকা। ইস্টবেঙ্গলের বি থ্রি গ্যালারির টিকিটের দাম ১০০ টাকা। সেখানে মোহনবাগানের ডি থ্রি গ্যালারির টিকিটের দাম ২৫০ টাকা।
ইস্টবেঙ্গলের বি ওয়ান গ্যালারির টিকিটের দাম ১০০ টাকা। মোহনবাগানের ডি ওয়ান গ্যালারির টিকিটের দাম বরাদ্দ করা হয়েছে ৩০০ টাকা। ইস্টবেঙ্গলের বি টু গ্যালারির টিকিটের দাম ধার্য করা হয়েছে ২০০টাকা। অন্য দিকে মোহনবাগানের ডি টু গ্যালারির টিকিটের দাম বরাদ্দ করা হয়েছে ৪০০ টাকা।
প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে মোহনবাগান গ্যালারির টিকিটের দাম ইস্টবেঙ্গলের থেকে অনেকটাই বেশি। ডার্বির মতো বড় ম্যাচের দিকেই তাকিয়ে থাকেন দুই দলের সমর্থকরা। এই ম্যাচের অপেক্ষায় দিন গোনেন দুই দলের কোটি কোটি ভক্ত-অনুরাগী। সেই ম্যাচের টিকিটের দামের এতটা তারতম্য! লাল-হলুদ শিবিরের টিকিটের দাম নির্ধারণে এই মানসিকতার তীব্র নিন্দা করেছেন মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু। তিনি বলেছেন, ”ডার্বিতে সবাই চায় মাঠ ভরুক। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল বৈষম্যের যে বাতাবরণ তৈরি করল তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ধিক্কার জানাই।”
বড় ম্যাচের বল এখনও গড়ায়নি। রবিবারের ডার্বি যুদ্ধের আগেই কিন্তু ময়দান টিকিট নিয়ে উত্তপ্ত, একথা বলে দেওয়াই যায়।