আর্জেন্টিনা: ১ (মেসি)
চিলি: ১ (ভার্গাস)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরনো রোগ সারেনি আর্জেন্টিনার (Argentina)। গোলমুখে স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতা, ভুলেভরা রক্ষণ, এবং সর্বোপরি বড় টুর্নামেন্টে লড়াকু মানসিকতার অভাব। যার জেরে কোপা আমেরিকার প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খেতে হল লিও মেসি (Leo Messi) অ্যান্ড কোম্পানিকে। ফ্রি-কিক থেকে অনবদ্য গোল করেও দলকে জয় এনে দিতে পারলেন না লিও। চিলির বিরুদ্ধে ১-১ গোলে আটকে গেল নীল-সাদা ব্রিগেড।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল নিজেদের প্রথম ম্যাচে শুধু জিতেছে তাই নয়, রীতিমতো জানান দিয়েছে যে তাঁরা কেন এই টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভরিট দল। স্বাভাবিকভাবেই আজ নজর ছিল আর্জেন্টিনার দিকে। তবে, লিও মেসির আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ছিল শক্তিশালী চিলি (Chile)। যারা আবার টুর্নামেন্টের অন্যতম দাবিদার। তাই এই ম্যাচে কঠিন লড়াই হবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছিল। হলও তাই। তবে, সেটা মূলত আর্জেন্টিনার আক্রমণ ভাগ বনাম চিলির রক্ষণ। গোটা ম্যাচে আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকাররা মোট ১৮টি শট মেরেছেন। দুর্ভাগ্য বশত এই ১৮টি শটের মধ্যে টার্গেটে ছিল মোটে ৫টা। সেগুলিরও অধিকাংশই চিলির অধিনায়ক তথা গোলরক্ষক ক্লউডিও ব্রাভোকে (Caludio Bravo) তেমন বেগ দিতে পারেনি। কখনও লাউটারো মার্টিনেজ আবার কখনও গোঞ্জালেজ, একের পর এক সহজ সুযোগ মিস করেছেন আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকাররা। শেষে ম্যাচের ৩৩ মিনিটে অনবদ্য ফ্রি-কিকে নীল-সাদা ব্রিগেডের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মেসি নিজে।
[আরও পড়ুন: এনরিকের দল বাছাইয়ে গলদ ও সুইডিশ গোলকিপারের অনবদ্য পারফরম্যান্সেই জয় অধরা স্পেনের]
গোটা প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক একের পর এক সুযোগ তৈরি করেছেন, যা তাঁর সতীর্থরা কাজে লাগাতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে আবার রক্ষণের ভুলে ডুবতে হলে নীল-সাদা ব্রিগেডকে। এবার বক্সের মধ্যে বিশ্রী ফাউল করে চিলিকে পেনাল্টি দিয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। ৫৭ মিনিটে সেই পেনাল্টি প্রথমে সেভও করে ফেলেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এনমিলানো মার্টিনেজ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রিবাউন্ড থেকে গোল করে সমতা ফিরিয়ে দেন ভার্গাস (Vargas)। এরপরও আর্জেন্টিনা বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তাঁরা আর গোল করতে পারেনি। ফলে ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলে।
অন্যদিকে কোপার (Copa America 2021) আরেক ম্যাচে আজ প্যারাগুয়ে বলিভিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে। এই জয়ের ফলে তাঁরা আপাতত গ্রুপ বি’র শীর্ষস্থানে প্যারাগুয়ে। অন্যদিকে চিলিকে হারাতে না পারায় আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয় স্থান পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল।