সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) নামছেন বৃহস্পতিবার। পর্তুগালের (Portugal) প্রতিপক্ষ ঘানা (Ghana)। বিশ্বকাপে নামার আগেই খবর এল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ২ ম্যাচ নির্বাসিত করেছে ইংলিশ এফএ। পর্তুগিজ মহাতারকার সঙ্গে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বিচ্ছেদ ঘটে গিয়েছে মঙ্গলবারই। রোনাল্ডো যদি পরবর্তীকালে ইংল্যান্ডের কোনও ক্লাবে খেলেন, তাহলে প্রথম দু’ ম্যাচে খেলতে পারবেন না তিনি।
বিশ্বকাপে আসার আগে এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারের পরই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। গতকাল সরকারি ভাবে জানা গিয়েছে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে রোনাল্ডোর বিচ্ছেদ ঘটে গিয়েছে। কিন্তু কী কারণে রোনাল্ডোকে দু’ ম্যাচ নির্বাসিত করা হচ্ছে? ঘটনাটি ম্যান ইউ বনাম এভারটন ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর। খেলায় এভারটনের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড।
[আরও পড়ুন: মেসিকে ব্যঙ্গ করে রোনাল্ডোর আদলে সেলিব্রেশন! সৌদি সমর্থকদের ভিডিও ভাইরাল]
মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে এক এভারটন ভক্তের ফোন আছড়ে ফেলে দেন রোনাল্ডো। মাঠ ছাড়ার আগে সাইডলাইনের ধারে রোনাল্ডোর ছবি তোলার চেষ্টা করেন ভক্তরা। এভারটনের ১৪ বছরের সেই সমর্থকও রোনাল্ডোর ছবি তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু রাগত রোনাল্ডো সেই ভক্তের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেন। পরে অবশ্য তাঁর কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন রোনাল্ডো। কিন্তু সেপ্টেম্বরে এফএ জানিয়ে দিয়েছিল রোনাল্ডোকে শাস্তি পেতেই হবে। সেই শাস্তির খাঁড়া নেমে এল রোনাল্ডোর উপরে। দু’ ম্যাচ নির্বাসন এবং পঞ্চাশ হাজার পাউন্ড আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে পর্তুগিজ মহাতারকাকে।
যদিও এভারটন-ম্যাঞ্চস্টার ইউনাইটেড ম্যাচের পরে সেই ভক্তকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এসে খেলা দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রোনাল্ডো। তিনি লিখেছিলেন, ”আবেগ সবসময়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। যদিও আমাদের সবাইকে শ্রদ্ধাশীল এবং ধৈর্যশীল হতে হবে। ফুটবল ভালবাসে এমন তরুণদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। আমি আমার আবেগের এই বিস্ফোরণের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।” কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। আর্থক জরিমানার পাশাপাশি দু’ ম্যাচের জন্য নির্বাসিত রোনাল্ডো।