সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্মদিনের আগের রাতেই চূড়ান্ত ব্যর্থতার মুখ দেখতে হয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। মিডলসব্রোয়ের বিরুদ্ধে তিনি পেনাল্টি মিস করায় এফএ কাপ থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে (Manchester United)। সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন সিআর সেভেন। তবে একরাতের ব্যর্থতায় তো আর তাঁর হাজারো সাফল্যের গায়ে আঁচ লাগতে পারে না। তাই ৩৭তম জন্মদিনে অনুরাগীদের ভালবাসাতেই ভাসলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। চলুন একবার ফিরে দেখা যাক তাঁর অতীত জীবন।
তাঁর ভক্তদের অনেকেই জানেন, যে পৃথিবীর আলোই হয়তো দেখা হত না রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo)। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরের মা গর্ভপাত করতে চেয়েছিলেন। আসলে সংসারে আগেই ছিল অনেক ভাই-বোন। বাবা ছিলেন মদ্যপ। তাই অনভিপ্রেতই ছিলেন সিআর সেভেন। মা আর নতুন করে সন্তানের জন্ম দিতে চাননি। কিন্তু চিকিৎস বলেছিলেন, এই সময় গর্ভপাত করলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই শেষে ১৯৮৫ সালের আজকের দিনেই মায়ের কোল আলো করে জন্ম নেন রোনাল্ডো। বাকিটা ইতিহাস। সেই চিকিৎসকে আরও হয়তো মনে মনে ধন্যবাদ জানান অগণিত অনুরাগী।
[আরও পড়ুন: ওয়ানডে-তে রেকর্ডের হাতছানি, শচীন-সৌরভের এলিট ক্লাবে ঢুকে পড়তে পারেন রোহিত-কোহলি]
অনেকেই হয়তো ভাবেন ব্রাজিলীয় রোনাল্ডোর (Ronaldo) নাম দেখেই পর্তুগিজ স্ট্রাইকারের নামকরণ হয়েছিল। কিন্তু আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানের নাম থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে রাখা হয় তাঁর নাম। এই রোনাল্ডোকেই একবার স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। যদি ভাবেন ভীষণ দুষ্টু ছিলেন বলে স্কুল কড়া শাস্তি দিয়েছিল, তাহলে ভুল করবেন। আসলে ছোটবেলা থেকেই অপমান একেবারে সহ্য় করতে পারতেন না তিনি। একবার এক শিক্ষক নাকি তাঁকে অসম্মান করেছিলেন। রাগে চেয়ার ছুঁড়ে মেরেছিলেন রোনাল্ডো। সেই কারণেই স্কুল থেকে বিতাড়িত করা হয় তাঁকে।
আরও একটি মজার ঘটনা জড়িয়ে তাঁর ছেলেবেলার সঙ্গে। বন্ধুমহলে রোনাল্ডো পরিচিত ছিলেন ‘ক্রাই বেবি’ নামে। মাঠে বল পাস দিলে কোনও ফুটবলার যদি গোল করতে ব্যর্থ হতেন, তবে তিনি নাকি রীতিমতো কান্নাকাটি জুড়ে দিতেন। ফুটবল পায়ে তাঁর দুর্দান্ত গতির জন্য ‘লিটল বি’ হিসেবেও পরিচিত সিআর সেভেন।
[আরও পড়ুন: আরও বড় ধাক্কা, ক্যানসারে আক্রান্ত নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা ক্রিস কেয়ার্নস]
তাঁর যৌনজীবন, বান্ধবী, ঔদ্ধত্ব নিয়ে যতই আলোচনা আর সমালোচনা হোক না কেন, তাঁর ফিটনেস, ডায়েট চার্ট, অদম্য লড়াই, সাফল্যের খিদে প্রতি পদে উৎসাহ দেয় উঠতি ফুটবলারদের। তাই তো তিনি যে ক্লাবের জার্সিতেই খেলুন না কেন, উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতোই জ্বলজ্বল করে ৭ নম্বর জার্সিটি।