সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টুইটগুলি পুরনো। কোনওটা তিন বছর তো কোনওটা আরও আগের। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হতে পারে বিতর্কের কিছু নেই, এটা নিছকই মজা। কিন্তু পুরনো সেই টুইট ঘিরেই এবার বিতর্কে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের দুই তারকা ইয়ন মর্গ্যান (Eoin Morgan) এবং জস বাটলার। অভিযোগ উঠছে ভারতীয়দের ব্যঙ্গ করেই ভুলভাল ইংরেজিতে টুইট করেছেন দুই ইংরেজ তারকা। শুধু তাই নয়, ওই টুইটগুলিতে বারবার ‘স্যার’ শব্দটির প্রয়োগও সন্দেহজনক। ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়কের করা ওই টুইটগুলি বিদ্বেষমুলক কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে ইসিবি।
কী ছিল টুইটে? ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের ওপেনার অ্যালেক্স হেলস শতরান করার পর বাটলার (Jos Buttler) টুইট করেন,”দুর্দান্ত দ্বিশতরান। দারুণ ব্যাটিং, আপনি আগুন ঝরাচ্ছেন স্যর।” লক্ষ্যনীয় বিষয় হল, এই টুইটটিতে ব্যকরণগত একাধিক ভুল আছে। যা সচরাচর ইংরেজ ক্রিকেটারের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়। তাছাড়া, কেন স্যার শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে? বা কেন সেঞ্চুরিকে ডবল সেঞ্চুরি বলা হয়েছে সেটাও স্পষ্ট নয়। এতো গেল বাটলারের কথা। মর্গ্যানের বিরুদ্ধেও অভিযোগটা একই। ২০১৮ সালে এক টুইটে বাটলারের উদ্দেশে মর্গ্যান লেখেন, ‘স্যর, আপনি আমার প্রিয় ব্যাটসম্যান।’ এটিও ব্যাকরণগত ভুল ইংরেজিতে লেখা, এক্ষেত্রেও ‘স্যার’ শব্দটির ব্যবহার রহস্যজনক। ঘটনাচক্রে কেকেআর (KKR) কোচ তথা প্রাক্তন কিইয়ি তারকা ব্রেন্ডন ম্যাককালামও মর্গ্যানের এই টুইটে প্রতিক্রিয়া দেন। তিনিও মর্গ্যানের টুইটটিকে রিটুইট করে লেখেন, “জস বাটলার স্যার, আপনি খুব ভাল ওপেনিং ব্যাটিং করেন।” লক্ষ্যণীয়ভাবে এখানেও বাক্যের গঠন এলোমেলো। নেটিজেনদের ধারণা দুই ইংরেজ ক্রিকেটার এবং কেকেআর কোচ ম্যাককালাম (Brendon Mccullam) ভারতীয়দের ব্যঙ্গ করেই ভুল ইংরেজি লিখেছেন। ‘স্যার’ শব্দটির বহুল ব্যবহারও ভারতীয়দের ব্যঙ্গ করেই।
[আরও পড়ুন: দুবাইয়ে ‘কার রেসিং’য়ের ছবি পোস্ট করেও মুছে দিলেন সৌরভ, কিন্তু কেন?]
শোনা যাচ্ছে, বিতর্ক সৃষ্টি হতেই নিজের পুরনো টুইট ডিলিট করে দিয়েছেন বাটলার। তবে তাতে রেহাই মিলছে না। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ECB) বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। দুই তারকার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে? নির্ভর করবে এই তদন্তের উপরই। আসলে, সম্প্রতি বর্ণবিদ্বেষ বন্ধ করার ব্যাপারটি খুব গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে ইসিবি। সদ্যই, বহু পুরনো এক টুইটের জন্য ওলি রবিনসনকে নির্বাসিত করেছে তাঁরা। এখন দেখার মর্গ্যান এবং বাটলারের ভাগ্যে কী লেখা আছে।