সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ইংল্যান্ড দলের ক্রিকেটাররা! স্টুয়ার্ট ব্রডের (Stuart Broad) কথায় অন্তত তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেল। কিন্তু কেন নেটদুনিয়া নাপসন্দ ইংলিশ দলের (England cricket team)?
আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ক্রমেই বাড়ছে ব্যক্তিগত আক্রমণের প্রবণতা। নানা বিষয় নিয়ে কটূক্তি, কটাক্ষের পাশাপাশি লাগাতার বর্ণবিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন ক্রিকেটাররা। ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডের একাধিক ফুটবল ক্লাব এই একই কারণে সোশ্যাল মিডিয়া বয়কট করেছে। সোয়ানসি, বার্মিংহাম এবং স্কটিশ চ্যাম্পিয়ন রেঞ্জার্সের ফুটবলাররা গত সপ্তাহেই নেটদুনিয়া বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বারবার বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যে অত্যন্ত বিরক্ত তাঁরা। এবার একই পথে হাঁটতে পারেন ব্রডরা। তাঁর কথায় অন্তত সেই ইঙ্গিতই পাওয়া গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: শোয়েবকে কি একটু বেশিই বিরক্ত করছেন সানিয়া? দেখুন বিবাহবার্ষিকীতে কী পোস্ট করলেন]
এক নয়, একাধিকবার বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য শুনতে হয়েছে ইংল্যান্ডের পেসার জোফ্রা আর্চারকে। আবার সম্প্রতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল মঈন আলি বিতর্ক। বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন মঈনকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ক্রিকেটার না হলে তিনি হয়তো জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিতেন। যে বিতর্কের জল বহুদূর পর্যন্ত গড়ায়। মঈনের পাশে দাঁড়িয়ে তসলিমাকে একহাত নেন প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। সবমিলিয়েই তাই তিতিবিরক্ত গোটা ইংল্যান্ড দল। ব্রডের কথায়, সত্যিই এগুলো আলোচনার বিষয়। এবার একটা কড়া বার্তা দেওয়ার প্রয়োজন। আমরা চাই না কোনও ছোট সংখ্যালঘু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় সুযোগ পেয়ে তা নষ্ট করে দেবেন! তবে এটিকে বন্ধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ করা উচিত। অ্যাপ নির্মাতাদেরও আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।”
এরপরই জুড়ে দেন, নেটদুনিয়ার ভাল দিক আছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তা কমেই আসছে। যদি কোনও পদক্ষেপ করতেই হয়, তবে তা আমাদের ড্রেসিংরুমের নেতাদেরই নিতে হবে।” অর্থাৎ তাঁরাও যে নেটদুনিয়া বয়কট করতে পারেন, সে ইঙ্গিতই স্পষ্ট।