পর্তুগাল: ১ (রিকার্ড হোর্তা)
দক্ষিণ কোরিয়া: ২ (কিম ইয়ং গওন, হং হি চান)
উরুগুয়ে: ২ (জর্জিয়ান ডে আরাসকায়েতা)
ঘানা: ০
দুলাল দে, দোহা: ফের বিশ্বকাপে রণহুঙ্কার এশিয়ার। জাপানের পর এবার জয়ধ্বনি দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea)। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) পর্তুগালকে হারিয়ে নকআউট পর্বে পৌঁছে গেল দক্ষিণ কোরিয়া। উরুগুয়ের সঙ্গে পয়েন্ট এবং গোলপার্থক্য সমান থাকলেও গ্রুপ পর্বে বেশি গোল করার সুবাদে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করল এশিয়ার দৈত্যরা। ফলে তৃতীয় এশীয় দল হিসাবে শেষ ষোলয় পা রাখলে কোরিয়া।
নকআউটে যেতে হলে পর্তুগালের (Portugal) বিরুদ্ধে জিততেই হবে। শুধু তাই নয়, দিনের অপর ম্যাচে উরুগুয়ের বেশি গোলে জেতা চলবে না। এই দুই সমীকরণ মাথায় রেখে এদিন খেলতে নেমেছিলেন সন হিউং মিনরা। সৌভাগ্যবশত দিনের দুটি ম্যাচের রেজাল্টই যায় দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে। নিজেদের ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে পর্তুগালকে ২-১ গোলে উড়িয়ে দেয় কোরিয়া। অন্য ম্যাচে ঘানাকে (Ghana) ২-০ গোলে হারালেও গোলপার্থক্যে কোরিয়াকে টপকাতে পারেনি উরুগুয়ে। ফলে পয়েন্ট এবং গোলপার্থক্য সমান থাকলেও বেশি গোল করার সুবাদে পরের রাউন্ডে চলে গেলেন সনরা।
[আরও পড়ুন: বিয়ের জন্য ছুটি নিলেন রাহুল? পুরোপুরি বিদেয় হোন, কটাক্ষ ক্ষুব্ধ নেটিজেনদের]
এদিন মরণ-বাঁচন ম্যাচে শুরুতেই ধাক্কা খায় দক্ষিণ কোরিয়া। ম্যাচের মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই হোর্তার গোলে এগিয়ে যায় রোনাল্ডোর পর্তুগাল। এরপরও বেশ কিছু সুযোগ প্রথমার্ধে পেয়েছিল পর্তুগাল। কিন্তু তারা সেগুলি কাজে লাগাতে পারেনি। উলটে ম্যাচের ২৭ মিনিটে খেলার গতির বিপরীতে গিয়ে গোল শোধ করে কোরিয়াকে আশার আলো দেখান কিম ইয়ং গওন। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক খেলে কোরিয়া। তবে ৯০ মিনিট পর্যন্ত তাদের কোনও চেষ্টাতেই গোল আসেনি। কাঙ্ক্ষিত সেই গোলটি তারা পায় ইনজুরি টাইমে। সুপার সাব হং হি চান অনবদ্য গোল করে কোরিয়াকে নকআউটে পৌঁছে দেন।
[আরও পড়ুন: কাতারে সূর্যোদয়ের জাপানকে চূর্ণ করার স্মৃতি আঁকড়ে ‘বিশ্বম্ভর’ নইম]
এদিকে, মরণ-বাঁচন ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলা শুরু করে উরুগুয়ে। শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকেন দু’বারের চ্যাম্পিয়নরা। যার ফল মেলে ম্যাচের ২৬ মিনিটেই। তরুণ আরাসকায়েতার গোলে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। মিনিট ছয়েক বাদে ফের গোল করেন আরাসকায়েতায়। এরপরও একাধিক গোলের সুযোগ পায় উরুগুয়ে। কিন্তু তারা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। ফলে ম্যাচ শেষ হয় ২-০ গোলে। কিন্তু এই জয় তাঁদের কাজে লাগল না। কারণ, অন্য ম্যাচে জয়ের সুবাদে ততক্ষণে নকআউটে পৌঁছে গিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
এদিনের এই দুই ফলাফলের অর্থ, গ্রুপের শীর্ষে থেকে পর্তুগাল চলে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে। অন্যদিকে দ্বিতীয় দল হিসাবে গ্রুপ থেকে শেষ ষোলয় পৌঁছে গেল দক্ষিণ কোরিয়া। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে কোরিয়াকে সম্ভবত খেলতে হবে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে। আর পর্তুগালকে খেলতে হবে ব্রাজিলের গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলের বিরুদ্ধে।