স্টাফ রিপোর্টার: টার্মশিট এবং চুক্তিপত্র দেখে প্রাক্তন ফুটবলারদের আইনি পরামর্শ নয়। শেষ পর্যন্ত প্রখ্যাত কর্পোরেট আইনজীবী, যিনি ক্লাবেরও প্রাক্তন সচিব, সেই পার্থসারথি সেনগুপ্তর কাছে ইনভেস্টরের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের পথ বাতলে দেওয়ার জন্য আবেদন করল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব (East Bengal)। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, পার্থসারথি সেনগুপ্তকে এখন বিরোধী দলের শীর্ষকর্তা হিসেবেই দেখা হয়। ফলে ক্লাবের এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার বিরোধী কর্তার হাতে ঠেলে দিয়ে শাসক গোষ্ঠীর কর্তারা চমক দিলেন বলেই মনে করছে ময়দান। তবে একই সঙ্গে মনে করা হচ্ছে, দু’পক্ষই সমস্যা সমাধান করার শেষ পর্ব পৌঁছে গেছে। হয়তো আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত ঘোষণাও হয়ে যেতে পারে।
কীভাবে ইনভেস্টরের সঙ্গে সমস্যা মেটানো যায়, তার রাস্তা খুঁজে বের করার জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছেন লাল-হলুদ কর্তারা। পাশাপাশি ইনভেস্টর এবং এফএসডিএলের মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গেও কথা চালিয়ে যাচ্ছেন লাল-হলুদ কর্তারা। যে কারণে, ‘এক্সিট ক্লজে’ নতুন করে কিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে। একই সঙ্গে সদস্য-সমর্থকদের ক্লাবে প্রবেশের ব্যাপারে যে বিধি নিষেধ চুক্তিপত্রে রয়েছে, সেখানেও কিছুটা শিথিলতা আনার কথা ভাবা হচ্ছে। ফলে নতুন চুক্তি নিয়ে সদস্য সমর্থকদের কোনও সমস্যাই আর হওয়ার নয়। এদিন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ে ঠিক হয়, ক্লাবের সঙ্গে জড়িত কোনও প্রখ্যাত আইনীজীর সঙ্গে ইনভেস্টরের পাঠানো চুক্তিপত্র নিয়ে পরমর্শ নেওয়া যেতে পারে। কারণ, তিনি ক্লাবের বাস্তব এবং আবেগ দুটোই সবচেয়ে ভাল বুঝবেন। এভাবেই ঠিক হয়, ক্লাবের প্রাক্তন সচিব পার্থ সারথি সেনগুপ্তর কাছে নতুন চুক্তিপত্র নিয়ে পরামর্শ চাওয়া হবে। তবে চমক হল, আইনজীবী পার্থ সেনগুপ্তকে বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবেই দেখা হয়।
[আরও পড়ুন: টোকিওয় সিন্ধু গর্জন, জাপানি প্রতিপক্ষকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা]
এই প্রসঙ্গে ক্লাবের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “নির্বাচনের সময় পার্থবাবু বিরোধী শিবিরে থাকতে পারেন। কিন্তু উনিও তো ক্লাবের ভাল চান। তাই ওনার মতামত চাওয়া হয়েছে। উনি চুক্তিপত্র নিয়ে মতামত জানালে, তারপর আমরা ক্লাব সদস্যদের মতামত নেব। তারপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।” মতামত জানানোর জন্য এদিনই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের চিঠি চলে গিয়েছে পার্থসারথি সেনগুপ্তর কাছে। আপাতত যা খবর. তিনি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের এই অনুরোধ রাখতে চলেছেন। এবং চেষ্টা করবেন, ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে কথা বলে, একটা সমাধান সূত্র বের করতে। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কলকাতায় চলে আসবেন। আশা করা যাচ্ছে, পরের সপ্তাহেই চুক্তিপত্র সংক্রান্ত নাটকের চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটবে।