সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানকে দুরমুশ করেছিল এসভি সুনীল অ্যান্ড কোম্পানি। চিরশত্রুদের হারানোর পর আত্মবিশ্বাসও ছিল তুঙ্গে। কানাডাকে হারিয়ে পঞ্চম স্থান দখল করবে ভারত, এরকমই প্রত্যাশা ছিল দেশবাসীর। যদিও শেষরক্ষা হল না।৩-২ গোলে হেরে ষষ্ঠ স্থান দখল করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ভারতীয় হকি দলকে।
হয়তো কানাডাকে দুর্বল ভাবাই কাল হয়েছিল। এদিন গোড়াতেই কানাডা এগিয়ে গিয়ে চাপে রাখে ভারতীয় খেলোয়াড়দের। দলকে সমতায় ফেরান হরমনপ্রীত। যদিও আক্রমণের ঝাঁজ কমায়নি কানাডার খেলোয়াড়রা। কিন্তু শেষমেশ হরমনপ্রীতের দক্ষতার কাছে আরও একবার পরাস্ত হতে হয় তাঁদের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও দাপিয়ে খেলেছিলেন তিনি। এদিনও দেখা দিলেন পরিত্রাতা হয়ে। দলকে অতি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনিই এগিয়ে দেন। একটা সময় বেশ আত্মবিশ্বাসীই দেখাচ্ছিল মেন ইন ব্লু-দের। মনেই হচ্ছিল পঞ্চম স্থান প্রায় পাকা তাঁদের। কিন্তু ঠিক তখনই ভরাডুবি। শেষরক্ষা হল না। সম্ভবত আত্মতুষ্টির সুযোগ নিয়েই এরপর ভারতীয় ডিফেন্ডারদের হারিয়ে জালে বল পরপর দুবার বল জড়িয়ে দেন কানাডার খেলোয়াড়রা। আর দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাননি সুনীলরা। ফলত কানাডার কাছে পরাজয় মেনে নিয়ে ষষ্ঠ স্থান পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাঁদের।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সফল হলেও, নেদারল্যান্ডস ও মালয়েশিয়ার কাছে মুখ থুবড়ে পড়েছিল দল। ভারতের ডাচ কোচের ভবিষ্যতও ছিল টালমাটাল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের পর অবশ্য খানিকটা অক্সিজেন মিলেছিল। কিন্তু কানাডার কাছে যেভাবে হেরে ষষ্ঠ স্থানে শেষ করতে হল সুনীলদের, তাতে অনেক প্রশ্ন উঠে গেল। যদিও এখন বিশ্ব ব়্যাঙ্কিংয়ে ভারতের স্থান ছয়। তবে হকি খেলিয়ে কুলীন দেশগুলির সঙ্গে ভারত যে একাসনে বসতে পারে না তা বলাই বাহুল্য। যতদিন না নেদারল্যান্ডস, অষ্ট্রেলিয়া, জার্মানি, আর্জেন্টিনার মতো দেশকে হারাতে সক্ষম হবেন সুনীলরা, ততক্ষণ ভারতীয় হকির হৃতগৌরব যেন পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়।