সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোটের লাল চোখ দেখে চলতি মরশুমে বেশ ভুগতে হয়েছে তাঁকে। মাঠে ফিরলেও দেখা পাননি গোলের। কিন্তু তিনি, ভিনিসিয়াস জুনিয়র (Vinicius Junior) যে সব জমিয়ে রেখেছেন স্প্যানিশ সুপার কাপের (Spanish Super Cup) ফাইনালের জন্য, তা কি আগে কেউ জানতেন? ভিনিসিয়াস জুনিয়র একাই হারিয়ে দিলেন বার্সাকে।
ফাইনালে বার্সেলোনাকে (Barcelona) সামনে পেয়ে ভিনিসিয়াস জুনিয়র সম্মোহীত করলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে। হ্যাটট্রিক করলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ৭, ১০ এবং ৩৯মিনিটে তিন-তিনটি গোল করে হ্যাটট্রিক করেন ভিনিসিয়াস। ব্রাজিলীয় তারকা ম্যাচ নিয়ে যান রিয়াল মাদ্রিদের (Real Madrid) ক্যাম্পে। রিয়ালের ভিনিসিয়াসকে থামাতে দুটি হলুদ কার্ড দেখেন বার্সেলোনার রোনাল্ড আরাউখো। লাল কার্ড দেখতে হয় তাঁকে। স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ের নায়ক ভিনিসিয়াস বলেন, ”আমি সন্ত নই।”
[আরও পড়ুন: প্রখর চতুর্বেদীর ৪০৪, কোচবিহার ট্রফির ফাইনালে ইতিহাস]
ব্রাজিলের তারকা সাফ জানান, ”সবাই আমার সঙ্গেই লড়াই করতে চায়। আমাকে ঝামেলায় জড়াতে চায়। কারণ ওরা জানে আমাকে ঝামেলায় ফেললে তা সংবাদমাধ্যমে জায়গা পাবে।” ফাইনালেও বার্সার ফুটবলার ও কোচিং স্টাফের সঙ্গেও লেগে গিয়েছিল ভিনিসিয়াসের। বার্সা বেঞ্চের দিকে আঙুল দিয়ে দেখাতে থাকেন, তোমরা চার গোল হজম করেছ।
ফাইনালে রিয়াল ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সাকে। ভিনিসিয়াস ছাড়া রিয়ালের হয়ে গোল করেন রডরিগো। বার্সার হয়ে একটিমাত্র গোল করেন লেয়নডস্কি। ভিনিসিয়াসকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”অমি সন্ত নই। কখনও কখনও বেশি কথা বলে ফেলি আমি। ড্রিবল করতেই থাকি। আমার হয়তো এরকম করা উচিত নয়।” সে যাই হোক না কেন, ভিনিসিয়াস জুনিয়র স্বপ্নের ফাইনালে লিখে গেলেন নতুন রূপকথা।