সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একই ম্যাচে দুবার ‘মানকাডিং’ (Mankading) পদ্ধতিতে আউট করার সুযোগ পেয়েছিলেন। দুবারই ব্যাটার ছিলেন কুশল পেরেরা (Kushal Perera)। এবং বোলার এক ও অদ্বিতীয় মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc)। কিন্তু ‘মানকাডিং’ পদ্ধতিতে বিপক্ষের ব্যাটারকে রান আউট করার রাস্তায় হাঁটলেন না বাঁহাতি অজি পেসার। চলতি বিশ্বকাপে (ICC ODI World Cup 2023 AUS vs SL) অস্ট্রেলিয়া বনাম শ্রীলঙ্কা (AUS vs SL) ম্যাচে সেই ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা চরমে ওঠে। আইসিসি (ICC) ও এমসিসি (MCC) কয়েক মাস আগেই ‘মানকাডিং’-কে বৈধ রান আউট হিসাবে মেনে নিয়েছিল। তবে স্টার্ক মাথা গরম করে ফেললেও মহানুভবতার পরিচয় দিলেন।
স্টার্কের এহেন ক্রিকেটীয় মানসিকতায় মুগ্ধ ক্রিকেটপ্রেমীরা। যদিও অনেকেই আবার ইতিমধ্যেই বলাবলি শুরু করে দিয়েছেন যে, অস্ট্রেলিয়ার আগ্রাসী মানসিকতার ঐতিহ্য বজায় রেখে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারকে স্টার্কের রান আউট করে দেওয়া উচিত ছিল। তবে সোশাল মিডিয়ার যুগে সেই ঘটনার ছবি ভাইরাল হতে একেবারেই সময় লাগেনি।
[আরও পড়ুন: ১২৮ বছর পর অলিম্পিকে ফিরল ক্রিকেট, ঘোষণা করল আইওসি]
কিন্তু কী ঘটেছিল?
প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ব্যাপারটা সবার নজরে আসে। স্টার্ককে ফেস করছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা। নন স্ট্রাইকিং এন্ডে ছিলেন কুশল। স্ট্রার্ক ডেলিভারি শেষ করার অনেক আগেই শ্রীলঙ্কার ওপেনার পপিং ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবুও স্টার্ক তাঁকে ‘মানকাডিং’ করেননি। বরং কুশলকে সতর্ক করে আম্পায়ারকে জানিয়ে দেন যে, তিনি বিপক্ষের ব্যাটারকে আউট করার জন্য ‘মানকাডিং’-এর রাস্তায় হাঁটবেন না।
তবে স্টার্ক ক্রিকেটীয় মানসিকতার পরিচয় দিলেও, কুশল পেরারা দ্বিতীয়বার সেই একই আচরণ করেন। এর পরের ঘটনা ঘটল ইনিংসের পঞ্চম ওভারে। স্টার্ক বল পিচে ফেলার আগেই ফের পপিং ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান কুশল। শ্রীলঙ্কার ব্যাটারের এহেন আচরণ দেখে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেননি স্টার্ক। তিনি কুশল ডেকে সটান বলে দেন, ‘আমি কিন্তু দীপ্তি শর্মা নই। তবে আমাকে এমন ভাবে আউট করতে বাধ্য করো না। আমি আউট করছি বলে তুমি বারবার ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাবে! এটা কিন্তু ঠিক নয়।’ গত বছর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ একদিনের ম্যাচে চার্লি ডিনকে ‘মানকাডিং’ পদ্ধতিতে আউট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন দীপ্তি।
কী বলেছিল এমসিসি?
এমসিসি-র তরফে আগেই জানানো হয়েছিল যে, মানকাডিংকে আর ‘আনফেয়ার প্লে’ অথবা ‘অনৈতিক খেলা’-এর তালিকায় রাখা হবে না। বরং এটি স্থান পাচ্ছে ‘রান আউট’ সেকশনে। অর্থাৎ হাজার বিতর্ক সত্ত্বেও পদোন্নতিই ঘটানো হল মানকাডিং-এর। কেন এমন সিদ্ধান্ত?এমসিসি-এর পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে, এটা হিসাব মতো রান আউট। তা সত্ত্বেও একে ‘আনফেয়ার প্লে’-এর তালিকায় রাখা হয়। বিষয়টিকে এমনভাবে তুলে ধরা হয় যেন বোলারই এক্ষেত্রে ভিলেন। কিন্তু এতে তো কোনও অনৈতিক বিষয় নেই। বরং নন-স্ট্রাইকার এন্ডে যিনি রয়েছেন, তিনিই নিয়ম ভঙ্গ করছেন। তাই এ নিয়ে বিতর্কের কোনও কারণই থাকতে পারে না বলে দাবি করেছিল এমসিসি।