সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে অনেক শৃঙ্গ অর্জন করছেন। পথচলার একেবারে গোড়ার দিকের কথা। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জেতাও হয়ে গিয়েছে। তবে একইসঙ্গে চোখের সামনে থেকে ২০১৫ ও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপকে চোখের সামনে থেকে চলে যেতেও দেখেছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। সঙ্গে আরও একাধিক আইসিসি (ICC) ট্রফি জেতার যন্ত্রণা তো আছেই। সব মনে রেখেছেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) মহাতারকা। সেই দুঃস্বপ্নের অতীত মনে রেখেছেন বলেই তো আগামীর জন্য তৈরি হচ্ছেন। তাঁর চোখ এখন শুধুই আসন্ন বিশ্বকাপের (ICC ODI World Cup 2023) দিকে। আইসিসি ইভেন্ট না জেতার খরা মেটাতে মরিয়া ‘কিং কোহলি’ (King Kohli)। এশিয়া কাপ (Asia Cup 2023) অভিযানে নামার আগে একটি ইভেন্টে সেটা অকপটে জানিয়ে দিলেন বিরাট।
বিরাট বলেছেন, “প্রতি মুহূর্তে আমার কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে থাকে। আমি সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য মানসিক ভাবে তৈরি থাকি। কারণ এটাই আমার কাজ। প্রতি মুহূর্তের চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করার জন্যই আমার দিকে সবাত নজর রয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে এই নীতি নিয়েই খেলছি। এবার আমার লক্ষ্য বিশ্বকাপ জয়। আর লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।”
[আরও পড়ুন: কাপ যুদ্ধের দল ঘোষণা কবে? চলে এল বড় আপডেট]
প্রত্যাশার মারাত্মক চাপ মাঝেমধ্যে পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে। সেটা স্বীকার করে নিলেন বিরাট। সেই প্রসঙ্গে উঠে এল ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ব্যর্থ হওয়ার প্রসঙ্গ। বিরাট তখন বলেন, “সবাই ২০১৫ ও ২০১৯ সালের সেমিফাইনালে আমার ব্যর্থতার কথা বলেন। তবে ২০১১ সালের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় রান করতে পারিনি। কিন্তু সেটা নিয়ে কেউ কথা বলে না। কারণ সেই ম্যাচটা আমরা জিতেছিলাম।” এরপর তিনি ফের যোগ করেন, “এবারও চাপ আছে। আর যেহেতু ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, তাই প্রত্যাশার চাপ থাকা খুবই স্বাভাবিক। আমরাও এবার তৈরি। সবাই মিলে একজোট হয়ে বিশ্বকাপ জেতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এই মুহূর্তে সেটাই লক্ষ্য। একটা কথা মনে রাখবেন। ক্রিকেটারদের থেকে বেশি আর কেউ ট্রফি জিততে চায় না।”
তাঁর চোখের সামনে থেকে যেমন আইসিসি ট্রফি বেরিয়ে গিয়েছে, তেমনই আবার কেরিয়ারের শুরু থেকেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, ২০১১ সালে একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন। বিরাট শেষে বলেন, “তখন আমার ২৩ বছর বয়স। বিশ্বকাপের মাহাত্ম্য কতটা সেটা বুঝতে সময় লেগেছে। এখন আমি ৩৪, অনেকগুলো বিশ্বকাপে খেলে ফেললেও জিততে পারিনি। তাই সেই দলের বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতি কেমন ছিল সেটা জানি। সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে সচিন তেন্ডুলকরের জন্য। কারণ ওর শেষ বিশ্বকাপ ছিল। তার আগে অনেক বিশ্বকাপে খেলেও ট্রফি হাতে তুলতে পারেনি। কিন্তু মুম্বইয়ে ওর নিজের শহরে বিশ্বকাপ জেতা, ব্যাপারটাই অন্য রকম। স্বপ্নের মতো।”
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হচ্ছেন রোহিত, অতীতের ইতিবাচক মনোভাবেই জোর]
বিশ্বকাপের দিকে বিরাটের নজর থাকলেও আপাতত এশিয়া কাপের দিকেই তাঁর নজর রয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর বাইশ গজের যুদ্ধে ভারত-পাক মহারণ। সেই ম্যাচে বিরাটের ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ক্রিকেট দুনিয়া।