বোরিয়া মজুমদার: বিরানব্বইয়ের রূপকথা কি ফিরবে বাইশে? নাকি রূপকথার সমস্ত সমীকরণ বদলে জন্ম নেবে ইংল্যান্ডের নতুন জয়গাথা? যেমনটা হয়েছিল বছর তিনেক আগে, ৫০ ওভারের ফরম্যাটে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বলা খুব কঠিন। একদিকে ইংল্যান্ডের ‘ফিয়ারলেসনেস’, অন্যদিকে পাকিস্তানের ‘ফ্ল্যামবয়েন্স’। চুম্বকে এটাই রবিবাসরীয় মেলবোর্নে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের ক্যাচলাইন।যে দ্বৈরথের সাক্ষী থাকবেন প্রায় এক লাখ মানুষ। অথচ সেই সমারোহে ভারতই নেই! তাতে অবশ্য বাইশ গজের লড়াইয়ের জৌলুস কমছে না।
চলতি বিশ্বকাপে সেরা দুই দল নিঃসন্দেহে ফাইনাল খেলছে। একটা টিম যারা টুর্নামেন্টের ম্যাচ বাই ম্যাচ উন্নতি করেছে, অন্যদিকে, আরেকটা দল যারা খাদের কিনারা থেকে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে ফ্ল্যাশব্যাকে ’৯২ ফিরুক আর না ফিরুক। এই মুহূর্তে এই অপ্রতিরোধ্য ইংল্যান্ডকে থামানোর ক্ষমতা যদি কারও থাকে, সেটা পাকিস্তানের। কারণ গোটা টুর্নামেন্টে নিজেদের ‘আন্ডারডগ’ হিসেবে তুলে ধরে ফাইনালে পা রেখেছেন বাবর আজমরা (Babar Azam)। পাক দলের কাছে তাই ফাইনালে হারানোর কিছু নেই।
[আরও পড়ুন: এবার কি বিজেপিতে ধোনি? অমিত শাহর সঙ্গে প্রাক্তন অধিনায়কের ছবি নিয়ে চর্চা নেটদুনিয়ায়]
ইংল্যান্ডের আছে। তিনবছর আগে তারা নিজেদের মাঠে ওডিআই বিশ্বকাপ (ODI World Cup) জিতেছে। সেটা অন্য প্রেক্ষিত হলেও সাদা বলের ফর্ম্যাটে সেই সাফল্য যে কাকতালীয় নয়, সেটা এবার জস বাটলারদের সামনে প্রমাণ করে দেওয়ার বড় সুযোগ। আর যে ভঙ্গিমায় আর দাপটে সেমিফাইনালে থ্রি লায়ন্সরা ভারতকে বিশ্বকাপের (ICC T-20 World Cup) বাইরে ছিটকে দিলেন, তারপর সেই ছন্দ ফাইনালে না দেখতে পারলে অবাকই হব। ফাইনালে আরও একটা জিনিস ভরা গ্যালারির আকর্ষণ হতে চলেছে। বাটলার, হেলস লিভিংস্টোন, স্টোকস, ব্রুকদের সমৃদ্ধ ব্যাটিং বনাম শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হ্যারিস রউফদের পেস অ্যাটাক। সিডনি কিংবা অ্যাডিলেডের তুলনায় মেলবোর্নে অনেক ভয়ংকর দেখিয়েছে পাক বোলারদের। আর সেটাই ‘কোমা’ থেকে ফাইনালে উঠে আসার অন্যতম চাবিকাঠি পাকিস্তানের।
[আরও পড়ুন: আইসিসি’র চেয়ারম্যান বার্কলেই, ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থায় থেকে গেলেন সৌরভও]
মেলবোর্নে গ্যালারির সাপোর্টও পাকিস্তানের দিকেই বেশি থাকবে। সঙ্গে জয়ের খিদেও। ১৩ বছর পর ফের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেশে নিয়ে যেতে পারলে বিশ্বদরবারে বড় বার্তা দিতে পারবেন বাবররা। আর ইংল্যান্ড? তাদের সামনে বড় সুযোগ ৫০ ওভারের পর ২০ ওভারেও চ্যাম্পিয়ন তকমা ছিনিয়ে নেওয়ার। সবদিক থেকেই রবিবারের মেলবোর্নে জমজমাট লড়াইয়ের সব রসদ মজুদ। অপেক্ষা শুধু এমসিজি-তে (MCG) বল গড়ানোর।