অস্ট্রেলিয়া: ২৫৩/৭ (হরজস-৫৫, হিউস-৪৮, লিম্বানি-৩৮/৩)
ভারত: ১৭৪/১০ (আদর্শ-৪৭, মুরুগান-৪২)
৭৯ রানে জয়ী অস্ট্রেলিয়া
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯ নভেম্বর, ২০২৩। মন ভেঙেছিল ১৩৫ কোটি দেশবাসীর। গোটা সিরিজে অপরাজিত থেকেও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাস্ত হয় রোহিত অ্যান্ড কোং। অপ্রত্যাশিতভাবেই ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতছাড়া হয় ভারতের। মাস তিনেক পর বিশ্বকাপের ২২ গজে একেবারে একইরকম পরিস্থিতি তৈরি হল। আবারও বিশ্বকাপ (ICC U19 World Cup)। আবারও অপরাজিত থেকে টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছে যাওয়া। আবারও সামনে সেই হিংস্র অস্ট্রেলিয়া। এবার দাদাদের প্রতিশোধ নেবেন ভাইরাই। সেই আশাতেই বুক বেঁধেছিল ১৩৫ কোটির দেশ। কিন্তু ফের স্বপ্নভঙ্গ। অজি গাঁট কাটাতে পারল না অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতও। ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল উদয়দের।
রবিবাসরীয় বেনোনিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্তটা সঠিকই প্রমাণিত হয় অস্ট্রেলিয়ার। যদিও ওপেনার স্যাম কোনস্টাসকে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরিতে অজি টপ অর্ডারে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রাজ লিম্বানি। একাই তিনটি উইকেট তুলে নেন তিনি। তবে আরেক ওপেনার হ্যারি ডিক্সন (৪২) এবং অধিনায়ক হিউর (৪৮) চওড়া ব্যাটে ট্র্যাকে ফেরে অজিরা। এর পর ভারতীয় বোলারদের রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেন হরজস সিং। ৫৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে বড় রানে পৌঁছে দেন তিনি। অলিভার পিক করেন ৪৬ রান। দলগত দক্ষতায় ৭ উইকেটে ২৫৩ রান করে অজিরা। যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে কোনও দল প্রথমবার এত রান করল। যে লক্ষ্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হন উদয়রা।
[আরও পড়ুন: মিমির জন্মদিনে জিৎ-বুম্বা, নেই বোনুয়া নুসরত! মাঝরাতে কে দিলেন বিশেষ সারপ্রাইজ?]
মাত্র ২০ ওভারের মধ্যে চারটে উইকেট হারিয়েই চাপে পড়ে যায় ভারত। যে উদয়, শচীন ধাসরা কার্যত গোটা টুর্নামেন্টেই দাপটের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন, ফাইনালে অজি বোলারদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে তাঁরা যেন অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন। মাহিল ও ম্যাকমিলান তিনটি করে উইকেট নেন। শেষের দিকে মুরুগান অভিষেক (৪২) দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেন। কিন্তু ততক্ষণে ভাগ্যলিখন হয়ে গিয়েছিল। ১৯ নভেম্বরের মতোই আজকের দিনটা যে ছিল হিউদেরই।
ষষ্ঠবার বিশ্বজয় করে রোহিতদের কাঁদিয়েছিলেন প্যাট কামিন্সরা। আর এদিন উদয়দের স্বপ্নভঙ্গ করে চতুর্থবার ট্রফি ঘরে তুলল অনূর্ধ্ব-১৯ অস্ট্রেলিয়া। জুনিয়র হোক বা সিনিয়র, অস্ট্রেলিয়া যে ক্রিকেটবিশ্বে অতুলনীয়, তা যেন বেনোনিতে আরও একবার প্রমাণিত।