ভারত: ২
মালয়েশিয়া: ১
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতাড়িত রোল্যান্ট ওল্টম্যান্সের জুতোয় পা গলানোর কাজটা খুব একটা সহজ ছিল না ওয়ালথেরাস মারিনের পক্ষে। জানতেন, জিতলে যেমন ফেডারেশন কর্তা থেকে সমর্থক সবাই মাথায় তুলে নাচবেন, তেমন হারলেই সেই ওল্টম্যান্সের দশাই হবে। তাই সর্দারদের দায়িত্বে নেওয়ার পর রবিবার হয়তো সবচেয়ে বেশি স্বস্তি পেলেন মারিনে। আনন্দ তো রয়েইছে। কারণ এদিন ঢাকায় মালয়েশিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে তৃতীয়বারের জন্য এশিয়া কাপ ঘরে তুলল ভারতীয় হকি দল।
[টেস্ট ক্রিকেট থেকে কবে বিদায় নেবেন, জানিয়ে দিলেন অশ্বিন]
তৃতীয়বারের জন্য এশিয়া কাপ হাতে তোলা যেন ছিল সময়ের অপেক্ষা। রবিবার সন্ধেয় কোনও অঘটন না ঘটিয়ে ২০০৩ ও ২০০৭-এর পর ফের এশিয়া সেরার খেতাব জিতে নিল মেন ইন ব্লু। একদিকে ২০০ তম ওয়ানডেতে কোহলির বিরাট কীর্তি, আর অন্যদিকে যুব বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম জার্মানির হাইভোল্টেজ ম্যাচ। তারই মধ্যে লাগাতার দুরন্ত পারফর্ম করে ক্রীড়াপ্রেমীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন এসভি সুনীলরা। কখনও বাংলাদেশকে সাত গোলের মালা পরিয়ে তো কখনও পাকিস্তানকে দুরমুশ করে টুর্নামেন্টে অপরাজিত ছিলেন সর্দার সিংরা। গতবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়াই একমাত্র সুপার ফোর-এর লড়াইয়ে রুখে দিয়েছিল ভারতকে। কিন্তু সুপার ফোর-এ যেভাবে মালয়েশিয়াকে নাকানি-চোবানি খাইয়েছিলেন মারিনের ছেলেরা, তাতে ফাইনালে ফেভরিট ছিলেন তাঁরাই। ব়্যাঙ্কিংয়ের দিক থেকেও মালয়েশিয়ার থেকে ছ’ধাপ এগিয়ে ভারত। তার উপর প্রথমবার টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে মালয়েশিয়া। ছ’নম্বরে থাকা ভারতীয় হকি দল তাই প্রথম থেকেই ধারে ও ভারে এগিয়ে ছিল।
এদিনও দুরন্ত ছন্দে দেখা গেল মনপ্রীতদের। কোথাও অতিরিক্ত আত্মতুষ্টির ছিটেফোঁটাও ছিল না। প্রথমেই দলকে এগিয়ে দেন রমনদীপ সিং। ২৯ মিনিটে আরেকটি গোল ললিত উপাধ্যায়ের। মালয়েশিয়ার শাহরিল সাবা একটি গোল শোধ করলেও শেষরক্ষা করতে পারেনি।