ভারত- ১৪৮/৬ (শেফালি ৪২, হরমনপ্রীত ৩৬, তিপ্পোচ ৩-২৪)
থাইল্যান্ড- ৭৪/৯ (দীপ্তি ৩-৯, রাজেশ্বরী ২-১০)
ভারত ৭৪ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এশিয়া কাপ ফাইনালে (Women’s Asia Cup) পৌঁছল ভারতের মহিলা দল। সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডকে (Thailand) উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠল হরমনপ্রীতের দল। টস জিতে ভারতকে (India) ব্যাট করতে পাঠায় থাইল্যান্ড। কুড়ি ওভারে ১৪৮ রান তোলে ভারত। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৭৪ রানে থেমে যায় থাইল্যান্ড। ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান অথবা শ্রীলঙ্কা।
এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে থাইল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। সেই ম্যাচে থাইল্যান্ডের ব্যাটারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেন ভারতীয় বোলাররা। মাত্র ৩৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল থাইল্যান্ডের ইনিংস। বুধবারেও একই ছবি দেখা গেল। ভারতকে ম্যাচ জেতালেন বোলাররাই। তাঁদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের ফলে একেবারেই রান তুলতে পারেনি থাইল্যান্ড ব্যাটাররা। বোলারদের আক্রমণ করতে গিয়েই একের পর এক উইকেট খোয়াতে থাকেন তাঁরা।
বুধবার সিলেটে ম্যাচের শুরুটা খুব একটা ভাল করতে পারেনি ভারত। মাত্র ১৩ রান করে আউট হয়ে যান ছন্দে থাকা ভারতীয় ওপেনার স্মৃতি মন্ধানা। আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখতে পাওয়া যায়নি জেমাইমা রডরিগেজকেও। তবে দুরন্ত ইনিংস খেলেন ওপেনার শেফালি ভার্মা। মাত্র ২৮ বলে ৪২ রান করেন তিনি। পরে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউর (Harmanpreet Kaur)। ৩৬ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। ভারতীয় ব্যাটিংয়ে সেভাবে আর কেউ নজর কাড়তে পারেননি। বাংলার মেয়ে রিচা ঘোষও এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন।
[আরও পড়ুন:আরও বিপাকে সুশীল কুমার, অলিম্পিকে জোড়া পদকজয়ীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন আদালতের]
ভারতের ইনিংস থেকেই বোঝা গিয়েছিল, এই পিচে ব্যাট করা বেশ কঠিন। থাইল্যান্ড ব্যাট করতে নামার সঙ্গে সঙ্গেই এই কথা প্রমাণ করে দেন ভারতীয় অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মা। নিজের প্রথম স্পেলেই তিনি ফিরিয়ে দেন থাইল্যান্ডের দুই ওপেনারকে। পাওয়ার প্লের শেষে মাত্র ১৮ রান তোলে থাইল্যান্ড।
পরপর চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েও ধীরে ধীরে পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন থাইল্যান্ড ব্যাটাররা। তবে উইকেট না পড়লেও রান আটকে দেন ভারতীয় বোলাররা। শেষ পর্যন্ত বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠে গেল ভারত।
প্রথমবার এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল থাইল্যান্ড। টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের মতো হেভিওয়েট দলকে হারিয়ে দিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিল তারা। ভারতের কাছে সেমিফাইনালে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলেও ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছেন থাইল্যান্ডের মেয়েরা।