মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৫৭/৮ (ঈশান-৩২, ডেভিড-৩১, জাদেজা-২০/৩)
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৫৯/৩ (রাহানে-৬১)
৭ উইকেটে জয়ী চেন্নাই সুপার কিংস
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৮ আইপিএল। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে মরশুম শুরু করেছিল টুর্নামেন্টে কামব্যাক ঘটানো চেন্নাই সুপার কিংস। সেবার দলকে চ্যাম্পিয়নও করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। পাঁচ বছর পরও সেই ধোনির দাপট যে এতটুকু কমেনি, তারই প্রমাণ মিলল শনিবাসরীয় ওয়াংখেড়েতে। রোহিতদের ঘরের মাঠেই আরও একবার মুম্বইকে হারাল ‘থালা’র চেন্নাই।
আজই মুম্বইয়ের জার্সিতে অর্জুন তেণ্ডুলকরের অভিষেকের সম্ভাবনা সবচেয়ে জোড়ালো হয়ে উঠেছিল। কিন্তু শেষমেশ আর তেমনটা হল না। মাঠে উপস্থিত থাকলেও ছেলেকে আইপিএলে খেলতে দেখার স্বপ্ন এদিনও পূরণ হল না শচীন তেণ্ডুলকরের। উলটে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ডাক পান কুমার কার্তিকেয়া। জয়ও অধরা রইল রোহিত অ্যান্ড কোংয়ের। জাদেজার স্পিন আর অজিঙ্ক রাহানের মারকাটারি ব্যাটিংয়েই পরাস্ত পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
[আরও পড়ুন: ‘বিরোধীদের জোর ধাক্কা দিয়েছে আদালত’, CBI-ED মামলা খারিজ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ মোদির]
প্রথম ম্যাচে হারের পরই ধোনির নেতৃত্বের ভুলত্রুটি ধরতে শুরু করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে আনকোড়া তুষার দেশপাণ্ডেকে তিনি যেভাবে ব্যবহার করেছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। একটা সময় ক্যাপ্টেন কুলের মেজাজও গরম করে দিয়েছিলেন এই তুষার। কিন্তু সেই তুষারই এদিন রোহিতের (২১) উইকেট তুলে নিয়ে চমকে দেন। এরপর ঈশান, ডেভিডরা চেষ্টা করেও খুব একটা জুতসই রান স্কোরবোর্ডে তুলতে পারেননি। বোলিং বদলের সিদ্ধান্ত থেকে ফিল্ডিং সাজানো- সব দিক থেকেই যেন নিন্দুকদের জবাব দিয়ে দিলেন ধোনি। শুধু তাই নয়, মুম্বই ম্যাচেই ফিরল ‘ধোনি রিভিউ সিস্টেম’। মুম্বই ইনিংসের অষ্টম ওভারে মিচেল স্যান্টনার দ্বিতীয় বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে রাখেন। সুইপ শট খেলতে যান সূর্যকুমার যাদব (১)। পিছন থেকে ক্যাচ নেন মাহি। আম্পায়ার নটআউট দিলেও সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ চান ধোনি। তাঁর তীক্ষ্ণ চোখই শেষে জিতে যায়। যে ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
এদিন জয়ের সঙ্গে ধোনির প্রাপ্তি রাহানের দুরন্ত ফর্ম, তুষার দেশপাণ্ডের আত্মবিশ্বাস এবং দলের অনবদ্য ফিল্ডিং। উলটোদিকে একের পর এক তারকা প্লেয়ার হারিয়ে ক্রমেই সমস্যা বাড়ছে মুম্বইয়ের।