সিএসকে: ১৭২-৭ (ঋতুরাজ ৬০, কনওয়ে ৪০)
গুজরাট টাইটান্স: ১৫৭ (গিল ৪২, রশিদ খান ৩০)
চেন্নাই সুপার কিংস ১৫ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে ব্যাট করে লড়াই করার মতো একটা স্কোর দাঁড় করাও। তারপর বিপক্ষকে স্পিনের জালে ফাঁসিয়ে দাও। খেলার গতি এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করো, যে বিপক্ষের ব্যাটাররা ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই ম্যাচ হাতের মুঠোয় চলে আসে। চিপকে আইপিএলের সেই জন্মলগ্ন থেকে এই বাঁধা গতে বিপক্ষকে বধ করে আসছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni)। মঙ্গলবারের প্রথম কোয়ালিফায়ারেও সেটাই করে গেলেন ক্যাপ্টেন কুল। গুজরাটকে স্পিনের জালে ফাঁসিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটে নিলেন মাহি। প্রথম কোয়ালিফায়ারে চেন্নাই জিতল ১৫ রানে।
এদিন টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক (Hardik Pandya)। আশা ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে শিশির পড়ে যদি স্পিনারদের উপযোগিতা খানিক কমিয়ে দেয়! কিন্তু সেটা তো হলই না, উলটে নক-আউট ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৭২ রান তুলে গুজরাটকে চাপে ফেলে দিল সিএসকে (CSK)। পিচ যে স্লো হবে, সেটা জানাই ছিল কনওয়ে, ঋতুরাজদের। সেকারণেই নতুন বলে ভাল গতিতে রান তুলে নিলেন তাঁরা। চেন্নাইয়ের ওপেনিং জুটিতেই উঠল ৮৭ রান। ঋতুরাজ (Ruturaj Gaikwad) করলেন ৬০। কনওয়ে করেন ৩৪ বলে ৪০ রান। তবে ওপেনাররা আউট হওয়ার পর স্লো পিচে শেষদিকে সেভাবে রান বাড়ল না। ফলে চেন্নাইয়ের স্কোর আটকে গেল ৭ উইকেটে ১৭২ রানেই।
[আরও পড়ুন: তরুণীর মৃত্যুর পর ফের মর্মান্তিক পরিণতি! বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টির জমা জলে প্রাণ গেল যুবকের]
তবে চিপকের ঘূর্ণি পিচে ১৭৩ রানই ধোনির জন্য যথেষ্ট ছিল। তিনি একেবারে শুরু থেকেই বিপক্ষকে চাপে ফেলার কৌশল নিলেন। ঋদ্ধিমান সাহা এবং অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া ফিরে গেলেন পাওয়ার-প্লে শেষ হওয়ার আগেই। অন্য প্রান্তে একা লড়ছিলেন শুভমন (Subhman Gill)। তাঁর সঙ্গে শনাকা খানিকটা সঙ্গত করলেও, টপ অর্ডারের আর কোনও ব্যাটার সাফল্য পেলেন না। চেন্নাইয়ের দুই স্পিনার ৮ ওভারে মাত্র ৪৬ রান দিয়ে তুলে দিলেন ৪ উইকেট। ফলে শুভমন যখন ৩৮ বলে ৪২ রান করে আউট হলেন, তখন মাত্র ৮৮ রানে পাঁচ উইকেট গুজরাটের। কিন্তু ‘নাটক’ আরও বাকি ছিল। শেষদিকে রশিদ খান (Rashid Khan) এবং বিজয় শংকর চেন্নাই সমর্থকদের হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সপ্তম উইকেটের জুটিতে মাত্র ৩ ওভারে ৩৮ রান করে ফেলেন তারা। কিন্তু ১৮ তম ওভারে ঋতুরাজের অবিশ্বাস্য ক্যাচ ফিরিয়ে দেয় শংকরকে (১৪) এবং পরের বলেই দুর্দান্ত রান আউট করে নালকান্ডেকে ফেরান পরিবর্ত ফিল্ডার সেনাপতি। ফের বদলে যায় খেলার গতি। ১৯ তম ওভারে রশিদ ৩০ রানে আউট হতেই শেষ হয়ে যায় গুজরাটের সব আশা। শেষপর্যন্ত তাদের ইনিংস শেষ হয় ১৫৭ রানে।
[আরও পড়ুন: ‘মোদিই ভারতের সবচেয়ে দৃশ্যমান নেতা’, প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নোবেলজয়ী]
এই নিয়ে দশমবার আইপিএলের ফাইনালে উঠল চেন্নাই। এর আগে ২০০৮, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৩, ২০১৫, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২১ সালেও টুর্নামেন্টের খেতাবি লড়াইয়ে খেলেছে ধোনি ব্রিগেড। এর মধ্যে চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিএসকে। তবে হারলেও ফাইনালে যাওয়ার আরেকটা সুযোগ পাবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স ফাইনালে খেলার আরেকটা সুযোগ পাবে। শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ পাবে তারা।