shono
Advertisement

ইস্টবেঙ্গলকে উড়িয়ে আইএসএল ডার্বির রং সবুজ-মেরুন, লিগ শীর্ষে পেত্রাতোসরা

আরও একটা ডার্বি দাপটের সঙ্গে জিতল মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল টিকিটের দাম বাড়ানোর জন্য অনেক সবুজ-মেরুন সমর্থক মাঠে এলেন না। দলের জয় সামনে থেকে দেখা থেকে বঞ্চিত হলেন।
Posted: 08:03 PM Mar 10, 2024Updated: 10:49 PM Mar 10, 2024

রবিবারের ডার্বি কার্লেস কুয়াদ্রাতের দলের কাছে কার্যত আইএসএলের ফাইনালের মতো। হারা চলবে না কিছুতেই। কিন্তু সেটা আর হল কোথায়! মোহনবাগান ডার্বি যুদ্ধে নামার আগেই প্লে-অফে পৌঁছে গিয়েছিল। তাদের লক্ষ্য এখন একটাই, পয়েন্ট টেবিলের মগডালে ওঠা। আর তার জন্য তাদের ইস্টবেঙ্গলকে হারাতেই হত। আর তাই হল। এবারও ডার্বির রং হয়ে গেল সবুজ-মেরুন। দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেসন কামিন্সদের ঝড়ের মুখে ৩-১ গোলে উড়ে গেল লাল-হলুদ। জয়ের সুবাদে যেমন হাবাসের দল লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে গেল, ঠিক তেমনই লাল-হলুদের জন্য সুপার সিক্সে যাওয়ার রাস্তা হয়ে গেল আরও কঠিন।

Advertisement

খেলা শেষ। এবারও পারল না ইস্টবেঙ্গল। আগুনে ফুটবল খেলে ৩-১ ব্যবধানে ডার্বি জিতে মাঠ ছাড়ল মোহনবাগান।

অতিরিক্ত সময়ের খেলা চলছে। মোহনবাগান এখনও ৩-১ এগিয়ে। ইস্টবেঙ্গল কি পারবে আরও দু’গোল শোধ করতে? সম্ভাবনা খুবই কম। ৮১ মিনিটেই ক্লেটন ফ্রি-কিক থেকে একটি শট নিয়েছিল। যদিও সেই শট ধরে ফেলেন বিশাল।

‘৬৭: ইস্টবেঙ্গল আক্রমণ বাড়িয়েছে। মোহনবাগান কোচ নতুন প্লেয়ার নামিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টায়। কামিন্স, লিস্টনের জায়গায় আশিস রাই ও অনিরুদ্ধ থাপাকে নামালেন হাবাস।

‘৬৩: ফের অপ্রতিরোধ্য বিশাল কাইথ। ফের একবার বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ক্লেটনের হেড বাঁচিয়ে দিলেন সবুজ-মেরুনের গোলকিপার। 

‘৫৩: তিন গোল হজমের পর সউল ক্রেসপোর পা থেকে ব্যবধান কমাল ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটনের ক্রস বুকে নামিয়ে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন ক্রেসপো। ফলাফল আপাতত ৩-১। 

‘৫০: দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আরও এক গোল করতে পারত মোহনবাগান। বক্সে অরক্ষিত অবস্থায় বল পেয়েছিলেন কামিন্স। তাঁর ডান পায়ের শট ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন প্রভসুখন। 

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু। আরও গোলের খোঁজে মোহনবাগান। ৫-০ গোলে জিততে পারবে হাবাসের দল? 

৪৯’: প্রথমার্ধের খেলা শেষ। মোহনবাগান ৩-০ গোলে এগিয়ে। লজ্জার হারের মুখে ইস্টবেঙ্গল। 

‘৪৮: পেনাল্টি পেল মোহনবাগান। সাহালকে ফাউল করায় পেনাল্টি। কিক নিচ্ছেন পেত্রাতোস। জোরালো কিক, প্রভসুখন গিলের হাতে লেগে গোল। ৩-০ এগিয়ে মোহনবাগান।কামিন্স, লিস্টনের পর এবার পেত্রাতোসের গোল, লজ্জার হারের মুখে ইস্টবেঙ্গল। 

 

‘৩৬: যুবভারতীর রঙ সবুজ-মেরুন, কামিন্সের পর এবার লিস্টন, ব্যাপক চাপে ইস্টবেঙ্গল। ২-০ গোলে এগিয়ে গেল মোহনবাগান। অবশ্য এই গোল হজমের জন্য লাল-হলুদের দুর্বল রক্ষণই দায়ী। 

 

‘২৭: যুবভারতীর রঙ সবুজ-মেরুন, জেসন কামিন্সের গোলে এগিয়ে গেল মোহনবাগান। আসলে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় উপস্থিতি। এটাই পার্থক্য গড়ে দিল। দিমিত্রি পেত্রাতোসের গ্রাউন্ডার। প্রাথমিক ভাবে সামলে দেন প্রভসুখন গিল। যদিও সামনেই ছিলেন বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স। ফিরতি বলে গোল কামিন্সের। আইএসএলে ৮টি গোল হয়ে গেল অজি স্ট্রাইকারের। 

 

‘২২: নিজেদের মধ্যে পাস খেলে বল দখলে রাখার চেষ্টা ইস্টবেঙ্গলের। পাল্টা বল দখলের লড়াই মোহনবাগানের। পেনাল্টি থেকে গোলের সুযোগ নষ্টের পর মানসিক ধাক্কা লাল-হলুদ শিবিরে।

‘১৪: বিশালের ভুলের পরেও ক্লেটনের পেনাল্টি মিস! সবুজ-মেরুনের গোলকিপারের ভুলে লাল-হলুদ পেনাল্টি পেলেও, মোহনবাগানের মান বাঁচালেন সেই বিশাল। দুরন্ত সেভ করলেন। অনুমান করে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়েছিলেন বিশাল। সে দিকেই শট মেরে অতি সহজ পেনাল্টি মিস করলেন কেল্টন সিলভা। 

‘১৩: বল সেভ করতে গিয়ে ক্লেটনকে সরাসরি ফাউল করেন বিশাল কাইথ। পেনাল্টি পেল ইস্টবেঙ্গল। 

‘৯: বাগানও লড়াই চালাচ্ছে। আক্রমণাত্মক লাগছে হাবাস ব্রিগেডকে। কাউকো বাগানের সাহালের জন্য বক্সে একটি স্ট্রিং বল খেলেন কিন্তু সাহাল পাস করতে বা গোল করতে ব্যর্থ হন এবং বলের নিয়ন্ত্রণ হারান।

‘৭: ধারেভারে মোহনবাগান এগিয়ে থাকলেও, শুরুতেই গোলের খোঁজে মরিয়া লাল-হলুদ। 

‘১: লিস্টনকে শুরুতেই ফাউল। ফ্রি কিক পেয়েছিল মোহনবাগান। তবে গোল হল না। দিমিত্রি পেত্রাতোসের হেড পোস্টে লাগে। শুরুতেই গোল হজম থেকে বাঁচল ইস্টবেঙ্গল।

রাত ৮:৩০টা: মাঠে নেমে পড়ল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। আইএসএলের মঞ্চে ফিরতি মেগা ডার্বির কিক অফ।

রাত ৮:০০টা: কতটা ভরল যুবভারতী? সেটাই দেখার অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা। 

দেখে নিন মোহনবাগানের প্রথম একাদশ

 

দেখে নিন লাল-হলুদের প্রথম একাদশ

 

হাবাস বনাম কুয়াদ্রাতের মস্তিষ্কের লড়াই

কোচ হিসেবে আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস এবং কার্লেস কুয়াদ্রাত এখনও পর্যন্ত আইএসএলে ছয় বার মুখোমুখি হয়েছেন। এর মধ্যে তিন বার জিতেছে হাবাসের দল ও একটিতে জিতেছেন কুয়াদ্রাত, দুবার ড্র হয়েছে। হাবাসের দল তিন বারই জিতেছে হোম ম্যাচে।

দুই দলের পয়েন্টের অঙ্ক

ড্র হলে ইস্টবেঙ্গলের প্লে অফের রাস্তা কার্যত শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তিন পয়েন্ট পেলে, প্লে-অফে ভেসে থাকবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। রবিবারের ডার্বি কুয়াদ্রাতের দলের কাছে কার্যত আইএসএলের ফাইনালের মতো। হারা চলবে না কিছুতেই। তাদের বাকি সব ম্যাচে জেতার পাশাপাশি অন্য দলগুলিকেও পয়েন্ট নষ্ট করতে হবে। মোহনবাগান ইতিমধ্যে প্লে-অফে পৌঁছে গিয়েছে। তাদের লক্ষ্য এখন একটাই, পয়েন্ট টেবলর মগডালে ওঠা। আর তার জন্য তাদের ইস্টবেঙ্গলকে হারাতেই হবে।

আইএসএলের ডার্বির পরিসংখ্যান

আইএসএলে কলকাতার দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট সাত বার। ছ’বারই জিতেছে সবুজ-মেরুন বাহিনী। একবার ড্র হয়েছে। ইস্টবেঙ্গল এখনও পর্যন্ত হারাতে পারেনি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলকে। দুই দলের দ্বৈরথে মোট ২১ গোল হয়েছে। মোহনবাগান করেছে ১৭টি গোল এবং সেখানে ইস্টবেঙ্গল করেছে মাত্র চার গোল।

ইস্টবেঙ্গলের পরিস্থিতি

আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স একেবারেই ভালো নয়। যদিও কার্লেস কুয়াদ্রাতের কোচিংয়ে কলিঙ্গ সুপার কাপ জিতেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। তবে সুপার কাপের পর আইএসএলে সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি ক্লেটন সিলভা-নন্দ কুমাররা। গত ফেব্রুয়ারি থেকে আটটি ম্যাচ খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। এর মধ্যে মাত্র দুটি জয়। হার পাঁচ ম্যাচে। ফলে লিগ টেবিলেও ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে। গত ডার্বিতে নামার সময় লিগ টেবিলে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থান ছিল সাত নম্বরে। তার পরে আর তারা উপরের দিকে উঠতে পারেনি। ক্রমশ তারা আট নম্বরে নেমে যায় এবং এখন তাদের স্থান নয়ে। এই জায়গা থেকে উঠে আসতে গেলে কুয়াদ্রাতের দলকে টানা সাফল্য পাওয়া ছাড়া কোনও উপায়ই নেই।

মোহনবাগানের অবস্থান

আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বে সবুজ-মেরুন শিবিরকে একেবারে অন্য চেহারায় দেখা গিয়েছিল। বিরতির আগে মোহনবাগান ১০টি ম্যাচের মধ্যে ছ’টিতে জিতেছিল। একটি ড্র এবং তিনটিতে হেরেছিল। সেখানে নতুন বছরে সবুজ-মেরুন ছয় ম্যাচ খেলেছে জিতেছে চার ম্যাচে। ড্র দুটি। বিরতির আগে যেখানে দশ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট পেয়েছিল বাগান, সেখানে বিরতির পরে তারা ছয় ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement