মোহনবাগান: ০
হায়দরাবাদ এফসি: ০
৪-৩ পেনাল্টি শুটআউটে জয়ী মোহনবাগান
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বার্থোলোমেও ওগবেচের পেনাল্টি শট বারে লেগে বাইরে চলে গেল। যুবভারতীজুড়ে তখন সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। ‘মোহনবাগান’ শব্দব্রহ্মে মুখরিত চতুর্দিক। আর প্রীতম কোটাল গোল করতেই গ্যালারিতে জ্বলে উঠল মশাল। আরও একবার আইএসএল ফাইনালে মোহনবাগান।
নির্ধারিত সময়ে ক’টা গোল করতে পারত মোহনবাগান? নয় নয় করে অন্তত তিনটে! ঘরের মাটিতে গতবারের চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদকে হারিয়ে হাসতে হাসতে ফাইনালে পৌঁছে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করেছিলেন মনবীর সিংরা। কিন্তু বারবারই বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন তাঁরা। ফিল্ড সিচুয়েশন থেকে সেটপিট- সর্বত্রই দাপিয়ে খেলেন সবুজ-মেরুন তারকারা। পেনাল্টি শুটআউটেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর সেখানেই আসে কাঙ্ক্ষিত ফল। গতবার এই হায়দরাবাদের কাছে সেমিফাইনালে হেরেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল মোহনবাগান। এদিন যেন তারই মধুর প্রতিশোধ নিলেন পেত্রাতোসরা।
[আরও পড়ুন: সত্যিই কি অসুস্থতা নিয়ে খেলেছিলেন কোহলি? এবার বড়সড় আপটেড দিলেন রোহিত]
কোনও দলের কোচই চাননি ম্যাচ পেনাল্টি শুটআউটে গড়াক। কারণ তখন খেলার ফল পুরোটাই যেন চলে যায় ভাগ্যদেবীর হাতে। যদিও চলতি টুর্নামেন্টে সবচেয়ে কম গোল হজম করেছেন বিশাল কাইথ। সেদিক থেকে দেখলে এ লড়াইয়ে বাগানের পাল্লাই খানিকটা ভারী ছিল। সেটাই বাস্তবায়িত হল।
হায়দরাবাদে আইএসএল সেমিফাইনালের প্রথম লেগে গোলশূন্য ড্র করে মোহনবাগান। ফলে আত্মবিশ্বাসে ভর করেই সোমবার যুবভারতীতে লড়াই শুরু করেছিলেন জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। ফুটবলারদের ক্লান্তি চিন্তায় রেখেছিল সবুজ-মেরুন কোচকে। যদিও মাঠে তার ছিটেফোঁটাও অনুভূত হতে দেননি হুগো বুমোরা। শুরু থেকেই বিপক্ষের ডেরায় হানা দিয়ে গোলমুখ খোলার চেষ্টা করতে থাকেন তাঁরা। ২৩ মিনিটে মনবীরের শট বারে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধে আশিস রাইয়ের বাড়ানো বল থেকে গোলের চেষ্টা করেন হুগো বুমো। কিন্তু গুরমীত সিংয়ের গ্লাভসে সে যাত্রায় রক্ষা পায় হায়দরাবাদ। ৮১ মিনিটে ডামজানোভিচও গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ।
উলটোদিকে হায়দরাবাদের হয়ে জোয়েল দলকে এগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও নিট ফল সেই শূন্যই। নাইজেরীয় স্ট্রাইকার ওগবেচেকে এদিন জ্বলে ওঠার সুযোগই দিলেন না বাগান ডিফেন্ডাররা। তবে ৭৩ মিনিটে একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবেই হুগো বুমোকে তুলে ফেডরিকোকে নামিয়ে দেন ফেরান্দো। তাঁর সেই সিদ্ধান্তের পর খেলার গতি অনেকটাই স্লথ হয়ে পড়ে। এক্সট্রা টাইমের প্রথমার্ধেও অবশ্য গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন লিস্টন কোলাসো। কিন্তু বেঙ্গালুরু বনাম মুম্বই ম্যাচের মতোই এই ম্যাচের নিয়তিও ছিল পেনাল্টি শুটআউটই। তবে সেখানে টানটান উত্তেজনা শেষে শেষ হাসি হাসলেন ফেরান্দোর ছেলেরাই। ১৮ মার্চ ফাইনালে বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি মোহনবাগান।