সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লুসাইল স্টেডিয়ামের ফাইনালের আগে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আবেগের বার্তা ভেসে আসছে লিও মেসির (Lionel Messi) দিকে। শেষ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে নামছেন আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সিধারী। তার আগে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের প্রথম শিক্ষক মনিকা ডোমিনা (Monica Domina) ভালবাসায় মোড়া খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন মেসিকে। সেই চিঠিতে মনিকা লিখেছেন, ”মৃত্যুর আগে অন্তত একবার হলেও মেসিকে জড়িয়ে ধরতে চাই।”
মনিকা অসুস্থ। আর্জেন্টিনা (Argentina) উত্তেজনায় ফুটছে। সবাই চাইছেন ১৯৮৬ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটুক কাতারে। ২০১৪ সালেও বিশ্বজয় করার সুযোগ এসেছিল লিও মেসির দিকে। সেবার মারাকানা স্টেডিয়াম থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল মেসিকে। আট বছর পরে ফের ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে তিনি। দিয়েগো মারাদোনাকে ছোঁয়ার আরও একটা সুযোগ তাঁর সামনে। ফুটবল-ঈশ্বর কি মেসির জন্য অন্য কোনও চিত্রনাট্য লিখে রেখেছেন? নাহলে এমন অবিশ্বাস্য ভাবে ফেরা সম্ভব কী করে! বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই হারতে হয়েছিল। বাড়ছিল চাপ। সেই চাপ সরিয়ে আর্জেন্টিনা এখন ফাইনালে। নীল-সাদা জার্সিধারীরা ফাইনালে পৌঁছনোর পরে আবেগের বাঁধ ভেঙে যায়। মেসির ছেলেবেলার শিক্ষকও সেই স্রোতে গা ভাসিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: লাতিন ফুটবল ভাল না! এমবাপের মন্তব্যে রোষ, ফ্রান্স শিবিরে অশান্তি বেঞ্জেমাকে নিয়ে]
রোজারিওতে জন্ম মেসির। সেখানকার ধুলো মাখা রাস্তায় এখনও ছড়িয়ে রয়েছে মেসি সম্পর্কে কত কিংবদন্তি। তাঁর গ্রোথ হরমোন নিঃসরণ স্বাভাবিক ছিল না। সেই কারণে দেহের বৃদ্ধিও সেরকম ছিল না। খুব অল্প বয়সে রোজারিও ছেড়ে মেসি চলে যান বার্সেলোনায়। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত রোজারিওতেই পড়াশোনা করেছেন মেসি। সেই সময়ে মেসির শিক্ষক ছিলেন মনিকা ডোমিনা। তাঁর কাছেই মেসি প্রাথমিক পাঠ পেয়েছেন। মেসির সেই শিক্ষক এখন অসুস্থ। মেসির সঙ্গে একবার অন্তত দেখা করতে চান, একবার হলেও জড়িয়ে ধরতে চান তাঁর প্রাক্তন ছাত্রকে।
খোলা চিঠিতে মনিকা লিখেছেন, ”হ্যালো মেসি, ঈশ্বরকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই যে আমি তোমার শিক্ষক হতে পেরেছি। আমার ছাত্র হওয়ার জন্য তোমাকেও ধন্যবাদ। তুমি বদলাওনি, একই রকম থাকার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ জানাই। মেসি, তুমি খুব সাধারণ, বিনয়ী, দুর্দান্ত একজন মানুষ। নিজেকে কখনও বদলিও না। তোমার জীবনের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। অনেক বিপর্যয়ের মধ্যে আমাদের দারুণ সুখের মুহূর্ত উপহার দেওয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। মেসি, তোমার হাসিমুখ দেখাই আমার কাছে বড় ব্যাপার। এটাই আমার কাছে সুখ। আমি তোমার শিক্ষক, এটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো ব্যাপার। তোমাকে একবার জড়িয়ে ধরতে চাই। অনেক শুভকামনা।”