সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিদ্বারের গঙ্গায় পদক বিসর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik), বজরং পুনিয়ারা (Bajrang Punia)। তবে শেষ পর্যন্ত এখনই তা না করে কেন্দ্রকে পাঁচদিনের সময়সীমা দিয়েছেন কুস্তিগিররা। অলিম্পিক ও কমনওয়েলথ গেমসে জেতা পদক জলে ভাসিয়ে দেওয়ার এই ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে মহম্মদ আলির কথা। বক্সিংয়ের এই কিংবদন্তি নিজের জেতা পদক বিসর্জন দিয়েছিলেন আমেরিকার ওহিও নদীতে। স্বাভাবিক ভাবেই সেই ইতিহাস ফিরে আসছে নতুন করে, সাক্ষী-ভিনেশদের ঘটনায়।
ঠিক কী ঘটেছিল? কেন নিজের পদক এভাবে বিসর্জন দিয়েছিলেন ক্যাসিয়াস ক্লে? মাত্র ১২ বছর বয়সে বক্সিং করা শুরু করেন মহম্মদ আলি (Muhammad Ali)। এর ৬ বছরের মধ্যেই ১৯৬০ সালের অলিম্পিকে তিনি সোনা জেতেন। এরপরই রেস্তরাঁয় এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয় তাঁর। স্রেফ কৃষ্ণাঙ্গ বলে তাঁকে খাবার পরিবেশন করতে আপত্তি তোলে কর্তৃপক্ষ। বলা হয়, ওই রেস্তরাঁ কেবল শ্বেতাঙ্গদের জন্য। এই ঘটনায় মানসিক আঘাত পান তিনি। এমনকী সাদা চামড়ার এক মোটরসাইকেল গ্যাংয়ের সঙ্গেও নাকি তাঁর হাতাহাতি হয়।
[আরও পড়ুন: এখনই নয় পদক বিসর্জন, চোখে জল, কেন্দ্রকে পাঁচদিনের সময়সীমা সাক্ষী-বজরংদের]
আত্মজীবনী ‘দ্য গ্রেটেস্ট’-এ তিনি লিখেছেন, ওই লড়াইয়ের পর ওহিয়ো নদীর সামনে দাঁড়িয়ে তিনি অলিম্পিক মেডেল ছুঁড়ে ফেলে দেন জলে। তবে এই কাহিনির ‘অন্য সংস্করণ’ও রয়েছে। আলির ঘনিষ্ঠদের দাবি, তিনি নাকি আসলে মেডেলটি হারিয়ে ফেলেছিলেন। ২০১৬ সালে আলির এক জীবনীকার থমাস হাউসারও একই দাবি করেন। ১৯৯৬ সালে আটলান্টা অলিম্পিকে সেই মেডেলের একটি রেপ্লিকা দেওয়া হয় আলিকে।
আজও এই ইতিহাস মনে রেখেছেন ক্রীড়াবিদরা। বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো চ্যাম্পিয়নদের অন্যতম ছিলেন মহম্মদ আলি। তাঁর এই পদক্ষেপ কার্যতই মিথ হয়ে রয়ে গিয়েছে। সাক্ষী, ভিনেশদের কি অনুপ্রাণিত করেছে এই ঘটনা? তেমন কিছু অবশ্য জানা যায়নি।