সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাতৃপ্রতিমা বিসর্জনের পর থেকেই যেমন আগামী বছরের পুজোর পরিকল্পনা শুরু করে দেন কলকাতার বড় দুর্গাপুজোর কর্তারা, তেমনই কাতার (Qatar World Cup) অভিযান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভবিষ্যৎ নিয়ে কাজে নেমে পড়ল ব্রাজিল। পেপ গুয়ার্দিওলা, কার্লো আন্সেলোত্তিকে ‘ফার্স্ট চয়েস’ ধরে ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা যখন নতুন কোচ নিয়োগের কাজ শুরু করে দিয়েছেন, নেইমার তখন সতীর্থদের সঙ্গে বারবার কথা বলে তাঁদের মনোবল বাড়ানোর কাজ করছেন।
ক্রোয়েশিয়ার কাছে হার এখনও মানতে পারছেন না নেইমার, থিয়াগো, মারকুইনহোস, রডরিগোরা। শুক্র রাতটা বেশিরভাগই কাটিয়েছেন লাশের মতো। পরদিন দেশে ফিরে গিয়েছেন ব্রাজিল স্কোয়াডের বেশিরভাগ সদস্য। সেই থেকে যখনই নিজেদের মধ্যে কথা বলছেন ফুটবলাররা ঘুরে ফিরে আসছে হারের বেদনা। থিয়াগো সিলভা, মারকুইনহোস, রডরিগোদের সঙ্গে হওয়া চ্যাটের স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আনলেন নেইমার (Neymar)। তাও আবার তাঁদের অনুমতি না নিয়েই। যেখানে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিশ্বকাপ (FIFA World Cup) জিততে কতটা মরিয়া ছিলেন দলের প্রত্যেকে।
[আরও পড়ুন: মোহনবাগানে স্পোর্টস লাইব্রেরি তৈরির কাজ শুরু, কবে উদ্বোধন? জানালেন সচিব]
ভারতীয় সময় রবিবার গভীর রাতে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে স্ক্রিনশটগুলি দেন নেইমার। শেয়ার করেন আরও এক স্টোরি। যেখানে লেখেন, ‘কাপ জিততে গোটা দল কতটা মরিয়া ছিল, তা বোঝাতে সতীর্থদের সঙ্গে হওয়া কথার কয়েকটা প্রকাশ্যে আনার সিদ্ধান্ত নিলাম (যদিও ওদের থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি)। সবার মন খুবই খারাপ। কিন্তু আরও সংঘবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমি গর্বিত আমি ব্রাজিলীয়।’ যে চ্যাটগুলি তিনি শেয়ার করেছেন দেখা যাচ্ছে টাইব্রেকার মিস করার পর মুষড়ে যাওয়া মারকুইনহোসকে স্বান্ত্বনা দিয়ে বলছেন, একটা পেনাল্টি মিস করায় কিছুই যাবে আসবে না। হেরে এতটাই ভেঙে পড়েছেন যে, নিজেকে গালিগালাজ করতেও বাদ দেননি ব্রাজিল অধিনায়ক। থিয়াগো সিলভা লিখেছেন, ‘ভাই আমি আর নিতে পারছি না। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না হেরে গেলাম। কান্না পাচ্ছে।’ অধিনায়ককে সেভাবে কোনও ভোকাল টনিক না দিলেও রডরিগোকে বলেছেন, ‘তুমি নাকি বলেছো যে, ক্ষমাপ্রার্থী? কেন? ভুল মানুষ মাত্রেই হয়।’
[আরও পড়ুন: ‘প্রতিটি ম্যাচেই কোচের আলাদা স্ট্র্যাটেজি, আমার বাজি ক্রোয়েশিয়া’, বলছেন ডগলাস]
নেইমার যখন সতীর্থগের এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিচ্ছেন, তখন তিতের বদলে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেই কাজ শুরু করে দিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন। শোনা যাচ্ছে, এই প্রথমবার কোনও বিদেশিকে ব্রাজিলের জাতীয় ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সেই দৌড়ে রয়েছেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি (Manchester City) কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা। এছাড়াও CBF-এর নজরে রিয়াল মাদ্রিদের (Real Madrid) ইতালিয় কিংবদন্তি কোচ কার্লো অ্যান্সেলোত্তি। ফেডারেশন সূত্রে খবর, তারা গুয়ার্দিওলার সঙ্গে দ্রুতই যোগাযোগ করবে। যদিও পেপের সঙ্গে ম্যান সিটির সদ্যই ২০২৫ সাল পর্যন্ত নতুন চুক্তি হয়েছে। একথা অজানা না থাকলেও গুয়ার্দিওলাকে কোচের দায়িত্বে আনার জন্য রীতিমতো মরিয়া। মাঝে কাঁটা শুধু বিশাল আর্থিক চুক্তি।