shono
Advertisement

টিকা নিতে অনিচ্ছুক জকোভিচ নিজেই কোভিডের ওষুধ তৈরির সংস্থার মালিক!

প্রকাশ্যে এল জকোভিচ সম্পর্কে নতুন তথ্য।
Posted: 07:58 PM Jan 20, 2022Updated: 08:07 PM Jan 20, 2022

দীপক পাত্র: নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic) কি সত্যিই করোনা টীকাকরণের বিরোধী? অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে (Australian Open) না খেলে বিতর্কিত ইস্যুতে বিদায় নেওয়ার পর এই প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ঠিক তার উল্টো। কেন? স্বয়ং জকোভিচ একটা ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার মালিক। যে বায়োটেক সংস্থা করোনা টীকা বাজারে বিক্রি করে। শুধু তাই নয়, যাতে করোনা বিশ্বজুড়ে প্রভাব ফেলতে না পারে তার জন্য সার্বিয়ান তারকা ও তাঁর পরিবার সেই ওষুধ সংস্থার ৮০ শতাংশ শেয়ার ২০২০ সালে কিনে নিয়েছেন। এই খবর প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সার্বিয়ান তারকা সম্পর্কে অনেকের ভুল ভাঙতে শুরু করেছে।

Advertisement

ড্যানিশ কোম্পানির সিইও বুধবার এক সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়ে বলেছেন, “জকোভিচ হলেন আমার কোম্পানির একজন প্রতিষ্ঠাতা। ২০২০ সালের জুনে যা আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি।” বায়োটেক সংস্থার নাম হল কোয়ান্ট বায়োরেস। তার প্রধান নির্বাহী হলেন ইভান লোনকারেভিক। ডেনমার্কের ব্যবসায়িক রেজিস্টারের তথ্য অনুসারে ৩৪ বছরের সার্বিয়ান তারকা ও তাঁর স্ত্রী জেলেনা একসাথে কেয়ান্টবায়োরেস কোম্পানির ৮০ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছেন।

[আরও পড়ুন: ‘ভাগ্য ভাল ছিল বলেই জিতেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল’, মাদ্রিদে বসে বলছেন প্রাক্তন কোচ মানোলো দিয়াজ]

এই সংস্থার ওষুধ আপাতত ডেনমার্ক, স্লোভেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেনে চলে। প্রায় ২০জন কর্মী এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। “আমরা একটা নতুন প্রযুক্তি আনছি যেখানে মানুষমারী ভাইরাসগুলিকে বিনষ্ট করতে পারবে। এছাড়া কোভিড ভাইরাসকে নিছক একটা সাধারণ ভাইরাসে নামিয়ে আনাই হল আমাদের লক্ষ্য।” একথা এএফপিকে জানিয়েছেন লোনকারেভিক। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, “কোভিডের মোকাবিলায় যদি আমরা সফল হই তাহলে অন্যান্য ভাইরাসকে বিনষ্ট করার ক্ষেত্রে অসম্ভব হবে না।”

সেই সঙ্গে সিইও জানিয়েছেন, কোয়ান্টবারোরেস গ্রীষ্মে আমেরিকায় ক্লিনিকাল ট্রায়ালের পরিকল্পনা করেছে। টীকাবিহীন পুরুষদের মধ্যে জকোভিচকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে কম নাটক হয়নি। পুরুষদের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষে থাকা টেনিস খেলোয়াড়কে অস্ট্রেলিয়া থেকে বের করে দেওয়া হয় যেহেতু তিনি টীকাকরণের বিরোধী। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে, এই ব্যাপারটা সম্পূর্ন ভুয়ো। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর মাথা নীচু করে অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন জকোভিচ। আসলে ন’বারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন আশা করেছিলেন এবারও শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার নিয়ে মেলবোর্ন ছাড়বেন। তাহলে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদাল ও রজার ফেডেরারকে পিছনে ফেলে তিনি পৌঁছে যাবেন ২১তম গ্র‌্যান্ড স্লাম জয়ীর তালিকায়। যদিও ডেনিস বায়োটেক ফার্মে জকোভিচের অংশদারিত্বের বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি তাঁর মুখপাত্র।

[আরও পড়ুন: ICC rankings: ভারতীয় ক্রিকেটে দুঃসময় অব্যাহত, এবার টেস্টে শীর্ষস্থান খোয়াল টিম ইন্ডিয়া]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement