ইংল্যান্ড: ২১১ [৪৯.৫ ওভার] (বেয়ারস্ট-৪৩, রুট-৪৬)
পাকিস্তান: ২১৫/২ [৩৭.১ ওভার] (আজহার-৭৬, ফাকহার-৫৭)
৮ উইকেটে জয়ী পাকিস্তান
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে যখন সরফরাজ আহমেদরা শেষ চারে পৌঁছেছিলেন, তখন গোটা ক্রিকেটমহল সেই ম্যাচকে ‘অঘটন’ বলেই চিহ্নিত করেছিল। কিন্তু বুধবার কার্ডিফে যা হল, তাকে কী ব্যাখ্যা দেওয়া যায়? ম্যাচের আপাদমস্তক দেখে তো কোনও অংশ থেকে সেমিফাইনালের লড়াই বলে মনেই হল না। ঘরের মাঠ, নিজেদের সমর্থকদের সামনে যে এত নিম্নমানের পারফর্ম করবে ইংল্যান্ড, তা হয়তো সমালোচকরাও আন্দাজ করতে পারেননি। তাও আবার প্রতিপক্ষ যেখানে পাকিস্তান। এদিনের ম্যাচকে পাকিস্তানের অঘটন ঘটিয়ে জয় না বলে বরং বলা ভাল ইংল্যান্ডের লজ্জাজনক হার।
[বাংলাদেশকে হারিয়ে ৩০০তম ওয়ানডে ম্যাচ স্মরণীয় করতে চান যুবরাজ]
গ্রুপ পর্বের পর কি ফের ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী? পাক দল সেমিফাইনালে পৌঁছনোর পর থেকে এটিই এখন ক্রিকেটের হট টপিক। সেই প্রশ্নের উত্তরের দিকে এদিন একধাপ এগোলো টুর্নামেন্ট। যে অনভিজ্ঞ পাকিস্তানকে বিশেষজ্ঞরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফেভরিটদের তালিকার বাইরেই রেখেছিলেন, সেই দলই কিনা সবাইকে টপকে এক্কেবারে ফাইনালে! তাও আবার সিংহের ডেরায় ঢুকে সিংহ বধ! স্বাভাবিকভাবেই খুশির ইদের আগেই পাক মুলুকে খুশি মেজাজ। আরও একবার ভারত-পাকিস্তানকে মুখোমুখি দেখার লোভ যেন সামলাতে পারছেন না ক্রিকেটপ্রেমী। তবে বৃহস্পতিবারের ম্যাচের যাই ফল হোক, ট্রফি যে এবার এশিয়াতেই আসছে, তা নিশ্চিত হওয়া গেল এদিন।
What an effort with the ball by Pakistan!
Their fans certainly appreciated it!
#ENGvPAK #CT17 pic.twitter.com/XHINVXT0sn
— ICC (@ICC) June 14, 2017
[OMG! ক্রিকেটে LBW কী জিনিস জানেনই না আফ্রিদি!]
পাকিস্তান কি হালকাভাবে নিয়ে ফেলেছিলেন ইয়ন মর্গ্যানরা। এমন শোচনীয় হারের এ প্রশ্ন উঠছেই। প্রথমে ব্যাট করে শুরুটা অবশ্য মন্দ করেননি রুটরা। মাত্র দুটি উইকেট খুইয়ে ১২৭ রান তুলে ফেলেছিল হোম ফেভরিটরা। কিন্তু তারপরই মর্গ্যানদের ব্যাটিং-অর্ডারে ধস নামে। মহম্মদ আমেরের অনুপস্থিতিতেও যে পাক বোলিং ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, সেটাই বোঝালেন হাসান আলি, জুনেইদ খানরা। ২১১ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। রুট ও বেয়ারস্ট আউট হওয়ার পর ক্যাপ্টেন মর্গ্যান ও স্টোকস দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই। কিন্তু পাক বোলারদের ঝোড়ো বোলিংয়ের সামনে তাঁরাও খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। আলি তিনটি এবং জুনেইদ ও রইস দুটি করে উইকেট তুলে নেন।
বোলিংয়ের মতোই ব্যাট হাতেও এদিন কামাল করলেন আজহার আলিরা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেদিন হয়তো ভাগ্যই সহায় ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু এদিন যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনালে পৌঁছল দল। পাক ব্যাটসম্যানদের প্যাভিলিয়নে ফেরাতে হিমশিম খেতে হল আদিল রশিদদের। ৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন আজহার। একপেশে ম্যাচের ফিনিশার মহম্মদ হাফিজ যখন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করলেন তখন বক্সে উচ্ছ্বসিত সরফরাজ। শ্রীলঙ্কা ম্যাচ জিতেও যে সমালোচনা শুনতে হয়েছিল, তারই যেন জবাব দিয়ে দিল দল। পাক দলের জয়ে টুর্নামেন্ট যে আরও জমজমাট হয়ে উঠল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
The post ব্রিটিশদের বধ করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তান appeared first on Sangbad Pratidin.