স্টাফ রিপোর্টার: কারও হাতে সত্তর-আশিটা করে টিকিট। কেউ আবার সকাল থেকে হন্যে হয়ে বেড়াচ্ছেন টিকিটের জন্য। দুপুর গড়িয়ে বিকেলের পরও টিকিটের যোগাড় হচ্ছে না। এ ছবিটা বাইরে নয়। খোদ সিএবির অন্দরমহলের। এহেন পরিস্থিতির সামনে পড়তে হয়েছে সিএবির (CAB) কমিটি সদস্যদেরই! অভিযোগ, যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের মতো কোনও কোনও সিএবি কর্তা ‘বিশেষ-বিশেষ’ লোককে সুবিধে পাইয়ে দিতে গিয়ে বিপত্তি বাঁধিয়েছেন। যার ফলে চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার হতে হল সিএবি বেশিরভাগ কমিটি সদস্যদের। দু’দিন পরই ইডেনে নামবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। শহরবাসী ধরেই নিয়েছে, শেষবারের মতো হয়তো ক্রিকেটের নন্দনকাননে খেলতে নামবেন ধোনি। পরের আইপিএলে ধোনিকে আদৌ চেন্নাই সুপার কিংস (KKR vs CSK) জার্সিতে দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে ভালরকম সংশয় রয়েছে।
রবিবারের ইডেনের (Eden Garden) কেকেআর-সিএসকে যুদ্ধ নিয়ে শহরের উত্তাপটা বাড়ছে ঠিক এখানকার আবহাওয়ার মতোই। সিএবির অন্দরের পরিস্থিতিটা আরও উত্তপ্ত। টিকিট নিয়ে সর্বত্র ক্ষোভ। কমিটি মেম্বারদের মধ্যে ক্ষোভ চরম সীমায় পৌঁছেছে। অভিযোগ উঠেছে, টিকিট কিনতে চেয়েও কমিটি সদস্যরা তা পাচ্ছেন না। বরং কাউকে কাউকে ‘পাইয়ে দেওয়া’-র খেলা চলছে। শোনা গেল, সিএবির তরফ থেকে কেকেআরকে অনুরোধ করা হয়েছিল, সিএবির কমিটি সদস্যদের জন্য অতিরিক্ত কিছু টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়। যা তাঁরা কিনে নেবেন। সেই মতো কেকেআর বেশ কিছু সংখ্যক টিকিট বরাদ্দও করে রেখেছিল।
[আরও পড়ুন: মিলছে না পেনশন, মাইলের পর মাইল হেঁটে ব্যাংকে চক্কর রুগ্ণ বৃদ্ধার, ক্ষুব্ধ খোদ অর্থমন্ত্রী]
ঠিক হয়, বুধবার সন্ধেয় সেই টিকিট দেওয়া করা হবে। সেটা করতে গিয়ে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়, যা দেখে উপস্থিত অনেককে স্তম্ভিত হয়ে যান। অশান্তির সূত্রপাত–অসম টিকিট বন্টন করা নিয়ে। শুরুতে বেশ কয়েকজন পঞ্চাশ-ষাট-সত্তরটা করে টিকিট কিনে নেন। স্বাভাবিকভাবেই পরে দিকে টিকিটের আকাল তৈরি হয়ে যায়। এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির তৈরি হয়, যা দেখে টিকিট-বন্টনকারী সংস্থার লোকজন রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সিদ্ধান্ত হয়, প্রত্যেক কমিটি সদস্য আর অনুমোদিত সংস্থা দশটি করে টিকিট কিনতে পারবেন।
সেখানেও অনেকে টিকিট পাননি। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফের টিকিট বন্টনের কাজ শুরু হয়। ব্যক্তিগত কাজের জন্য সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় আর সচিব নরেশ ওঝা এদিন ছিলেন না। পুরো দায়িত্বটা ছিল যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের উপর। যা সামলাতে তিনি পারেননি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশেষ কাউকে কাউকে অতিরিক্ত টিকিটের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। বলা হচ্ছে, টিকিট নিয়ে কেন এরকম অস্বচ্ছতা থাকবে? সব মিলিয়ে, ধোনি শহরে আসার আগেই ধোনি ম্যাচের টিকিট নিয়ে উত্তপ্ত সিএবি।