সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জার্মানির পরে স্পেন- ফুটবল বিশ্বের দুই মহাশক্তিধর দেশকে হারিয়ে বিশ্বকাপে (Qatar World Cup) এশীয় নবজাগরণ ঘটিয়েছে জাপান। তবে স্পেনকে হারিয়ে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার রাতেও জাপানকে (Japan) তাড়া করল ভার (VAR) বিতর্ক। তানাকা গোল দেওয়ার আগে বলটি লাইনের বাইরে চলে গিয়েছিল বলেই মনে করেছিলেন সকলে। কিন্তু ভার জানিয়ে দেয়, বলের কিছুটা অংশ লাইনের ভিতরে ছিল, অর্থাৎ সেই বলের ফিরতি পাস থেকে খেলা চালিয়ে যাওয়াই যায়। এখানেই ভারের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
ঠিক কী হয়েছিল? ম্যাচের ৪৮ মিনিটে স্পেনের (Spain vs Japan) বিরুদ্ধে সমতা ফেরায় ব্লু সামুরাইরা। তারপরে গতির ঝড় তুলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফের স্পেনের ডিফেন্সকে পরাস্ত করে এগিয়ে যান জাপানের ফুটবলার। সেই সময়ে মাঠের ডানদিক থেকে বাড়ানো পাস নিয়ে এগোতে শুরু করেন কোরাউ মিতোমা। বল ড্রিবল করতে গিয়েই মাঠের লাইনের বাইরে বলটি চলে যায়। তা সত্বেও ফিরতি পাস দেন মিতোমা। সেখান থেকেই বল গোলে ঠেলে দেন তানাকা। এখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে এশীয় রূপকথা, স্পেনকে হারিয়ে নকআউটে জাপান, জিতেও ছিটকে গেল জার্মানি]
প্রাথমিক ভাবে সকলের মনে হয়েছিল, লাইনের বাইরে বল চলে গিয়েছে অর্থাৎ আউট অফ প্লে। দীর্ঘক্ষণ ধরে ভারের মাধ্যমে বল ও মাঠের লাইনের মধ্যে দূরত্ব পরীক্ষা করে দেখে ভার। শেষ পর্যন্ত জানিয়ে দেওয়া হয়, বলটি লাইনের বাইরে চলে গেলেও, কিছুটা অংশ মাঠের মধ্যেই ছিল। ক্যামেরার টপ অ্যাঙ্গেল থেকে দেখলে বোঝা যাচ্ছে, লাইন ছুঁয়েছিল বলটি। তাই ওই বলকে খেলার বাইরে ফেলে দেওয়া যায় না। সেই পাস থেকে গোল হলে সেটা ন্যায্য গোল বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়। তানাকার এই গোলের পরে আর ম্যাচে ফিরে আসতে পারেনি স্পেন। ২-১ ফলে হারতে হয় তাদের।
চলতি বিশ্বকাপে ভার নিয়ে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দেহের একচুল অংশ লাইনের বাইরে থাকলেও অফসাইড দেওয়া হচ্ছে। একাধিক গোলও বাতিল করা হয়েছে এই কারণে। বৃহস্পতিবারের ম্যাচের পরে ফের ভক্তদের মধ্যে ভার নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সাধারণ ফুটবলপ্রেমী থেকে শুরু করে গ্যারি লিনেকারের মতো প্রাক্তন ফুটবলার-ভারের সিদ্ধান্তে বিস্মিত সকলেই। বিশ্বকাপে দলগুলির ভবিষ্যৎ পালটে দিচ্ছে ভারের সিদ্ধান্ত। নক আউট পর্বে ভারের সিদ্ধান্তে কতটা প্রভাব পড়বে টুর্নামেন্টে, সেই কথা ভেবে বেশ বিরক্তই হচ্ছেন ফুটবলপ্রেমীরা।